সোজা কথায়, এয়ারলাইন্স যদি বিমান বাতিল করে এবং যাত্রী তারপরেও নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে চায় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করা এয়ারলাইন্সের দায়িত্ব। অর্থাৎ যাত্রীকে পরবর্তী বিমানে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী বিমানের জন্য অপেক্ষা করার সময় যাত্রীর খাবারদাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্বও বিমান সংস্থার।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিনে গায়েব ২০ লাখ কোটি টাকা! রইল শেয়ার বাজার পতনের ৫ প্রধান কারণ!
advertisement
ব্যাপারটা কী? অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীদের সম্মতি ছাড়াই এয়ারলাইন্স সংস্থা আসন কমিয়ে দেয়। আবার কখনও উল্লিখিত আসন পান না যাত্রী। বিমান পরিবর্তনের উল্লেখ করেও টিকিট সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়। হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। এখন ডিজিসিএ এয়ারলাইন্স এবং সংস্থার সঙ্গ যুক্ত ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে এই প্রস্তাবগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
অনেক কারণে আসন কমানো হয়: কখনও খারাপ আসন, কখনও বা বিমান পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলি আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয়। এ কারণে যাত্রীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। এখন এসব মাথায় রেখেই নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসছে সরকার।
জরিমানা প্রযোজ্য: ডিজিসিএ ইতিমধ্যেই ফ্লাইট বাতিল এবং যাত্রীদের চড়তে বাধা দেওয়ার জন্য জরিমানা করার বিধান এনেছে। এই নিয়মে কোনও ফ্লাইট বাতিল হলে, এয়ারলাইন্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আসলে বিমান বাতিল করা হলে, নির্ধারিত সময়ের অন্তত ২ সপ্তাহ আগে যাত্রীকে জানাতে হবে। এবং ফিরতি বা বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স সংস্থা। কিন্তু যদি এয়ারলাইন অপারেটর যাত্রীদের না জানায় তাহলে বিমান টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। এই ক্ষতিপূরণ ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, কোনও এয়ারলাইন্স যাত্রীদের বোর্ডিংয়ে বাধা দিলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে।