কীভাবে এসআইপি শুরু করতে হয়: বিনিয়োগ শুরু করার আগে জরুরি তহবিল তৈরি করা উচিত। যাতে ৪ থেকে ৬ মাসের খরচ আরামসে করা যায়। এরপর অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজন মেটে এমন টাকা রেখে এসআইপি শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া এসআইপি শুরু করার আগে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য এবং কতটা ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এসআইপি শুরু করার জন্য একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন। সেটা বিনিয়োগ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকবে। বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সুচারুভাবে চালনা করতে ইসিএস করা যায়। প্রতি মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে স্থানান্তরের জন্য ব্যাঙ্ককে বলে রাখলেও হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: চপ বেচে লাখপতি চুঁচুড়ার চাচু! ৫ থেকে ৫০ টাকায় পাবেন ১৬ রকম স্বাদ, অবাক ঘটনা
এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ: এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ মোটেই জটিল বিষয় নয়। বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে শুধু। উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিনিয়োগের পরিমাণ বদলে যায়। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য থাকে। কেউ দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ তৈরি করতে চান। কেউ সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য। সুতরাং আর্থিক লক্ষ্য অনুযায়ী এসআইপি-র পরিমাণ ঠিক করা উচিত। কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং কত বিনিয়োগ করতে হবে তা ভাবার আগে এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: শীত আসতেই পা ফেটে চৌচিড়? যত্ন না নিলে বড় বিপদও হতে পারে!
কেন বিনিয়োগ: কত বিনিয়োগ করা উচিত সেটা তো বোঝা গেল। এবার কোন উদ্দেশ্যে এই বিনিয়োগ সেটা ঠিক করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, দীর্ঘ মেয়াদে এইআইপি সবসময় লাভজনক। স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য, যেমন ভাড়া এবং বিমা, ক্রেডিট কার্ড ঋণ পরিশোধ, ব্যক্তিগত পণ্য, ভ্রমণ, বিবাহ, বাড়ির সংস্কার এবং ছোটখাটো মেরামতের জন্য বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, যেমন অবসর তহবিল, বন্ধকী পরিশোধ, ব্যবসা শুরু করা, সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকে বিনিয়োগ করেন।
৫০:৩০:২০ নীতি: মিউচুয়াল ফান্ডে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে ৫০:৩০:২০ নীতি অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়। অর্থের ৫০ শতাংশ অবশ্যই প্রয়োজনে ব্যয় করতে হবে, ৩০ শতাংশ চাহিদা পূরণে এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ বিনিয়োগ।