এই স্টকের উত্থান দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। মাত্র ২ বছরে ৪৯০০ শতাংশ বেড়েছে এই মাল্টিব্যাগার স্টক। মাত্র ২.৫০ টাকা থেকে পৌঁছেছে ১২৬ টাকায়।
টিটিএমএল-এর শেয়ার মূল্যের ইতিহাস: নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২-এর শুরু থেকেই টাটা গ্রুপের এই স্টকটি ক্রমাগত পড়ছে। গত এক মাসে এই টেলিকম স্টক প্রায় ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ১৯৫ টাকা থেকে এর দাম নেমে হয়েছে ১২৬ টাকা। ইয়ার-টু-ডেট দেখলে টিটিএমএল-এর শেয়ারের দাম ২১৫ টাকা থেকে ১২৬ টাকায় নেমে এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন - ১৩ বছরে ৬ কোটি টাকার মূলধন, কোন মিউচুয়াল ফান্ডে কত বিনিয়োগ করলে মিলবে? দেখে নিন!
অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে দাম কমেছে ৪৫ শতাংশ। তবে গত ৬ মাসের পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে বোলালে দেখা যাবে এর আশ্চর্য উত্থান। এই সময়ে মাল্টিব্যাগার পেনি স্টকটি ৬৭ টাকা থেকে বেড়ে ১২৬ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি। একইভাবে গত এক বছরে টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের স্টক ১২.৭৫ টাকা থেকে ১২৬ টাকায় পৌঁছেছে, যা প্রায় ৮৫০ শতাংশ বৃদ্ধি।
একইভাবে টিটিএমএল-এর শেয়ারের মূল্য ২.৫০ টাকা(এনএসই-তে ৩০ এপ্রিল ২০২০-এ বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত) থেকে ১২৬ টাকায় (৪ মে ২০২২-এ বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত) পৌঁছেছে। অর্থাৎ ২ বছরে প্রায় ৫০ গুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন - পোস্ট অফিসের দুরন্ত স্কিম! ১০ বছরের সন্তানের নামে খুলুন অ্যাকাউন্ট পান ২,৫০০ টাকা
বিনিয়গের উপর প্রভাব: টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের শেয়ার মূল্যের ইতিহাস থেকে বোঝা যায়, এক মাস আগে এই স্টকে ১ লাখ
টাকা বিনিয়োগ করলে আজ তা কমে ৬৫ হাজার হয়ে যেত। তবে যদি ৬ মাস আগে এই মাল্টিব্যাগার পেনি স্টকে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হত তাহলে আজ তা বেড়ে ১.৮০ লাখ টাকা হত। একইভাবে যদি কেউ ১ বছর আগে টাটা গ্রুপের এই স্টকে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন তাহলে আজ তিনি ৯.৫০ লাখ টাকার মালিক হয়ে যেতেন।
আর যদি ২ বছর আগে অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দাম ২.৫০ টাকা ছিল সেইসময় কেউ যদি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন তাহলে আজ তা ৫০ লাখে পরিণত হত।