বাজারে সবজির দাম দিন দিন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সবুজের ছোঁয়া ফেরাতে ও পরিবারে পুষ্টির জোগান এবং সাশ্রয় নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। দু’সপ্তাহ ধরে চণ্ডিপুরের ভগবানখালীর কৃষি খামার ও সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্টের অফিসে চলছে পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ। জেলার প্রায় ২০০০ স্বনির্ভর দলের মহিলাদের এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে উৎসাহ দিতে দেওয়া হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লঙ্কা-সহ লেবু ও পেঁপের মোট ৫০টি চারা যাতে তারা নিজেদের বাড়ির ছাদেই গড়ে তুলতে পারেন ছোট্ট জৈব কিচেন গার্ডেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমের আগে মুর্শিদাবাদে তৈরি হচ্ছে গরদ শাড়ি! সবচেয়ে বেশি দাম ২০ হাজার টাকা
গোবর, গোমূত্র বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ছাদে বা বাড়ির পাশে ছোট্ট ফাঁকা জায়গায় সারা বছরই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন সম্ভব। এই সবজি একদিকে যেমন পরিবারের দৈনন্দিন কাজে লাগবে। অন্যদিকে অতিরিক্ত সবজি বাজারজাত করেও আয় করতে পারবেন মহিলারা। পূর্ব মেদিনীপুরের সিএডিসির তমলুক প্রকল্পের আধিকারিক ড. উত্তম কুমার লাহা জানান, বর্তমানে বাজারে সবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। তাই অর্গানিক উপায়ে নিজেরাই ছাদে বা বাড়ির পাশে এক টুকরো ফাঁকা জমিতে চাষ করে সবজি উৎপাদন বাড়াতে জেলা জুড়ে প্রায় ২০০০ মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত সবজির উৎপাদনের মাধ্যমে যেমন সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব, তেমনই হাতে তৈরি অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয় হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আবহাওয়া বর্ষা কাল ছাড়া সারা বছরই সবজি চাষ করা সম্ভব। এবার তাই এগিয়ে এল সরকারি সংস্থা। সরকারি সংস্থার উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা গাছ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে যেমন বিষমুক্ত অর্গানিক সবজি উৎপাদন বাড়বে জেলায়। তেমনই গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের হাতে আসবে অর্থনৈতিক সাম্য। সিএডিসি তমলুক প্রজেক্ট আওতায় মহিলাদের অর্থ নৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তুলতে সারা বছরে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবার শুরু হয়েছে কিচেন গার্ডেন তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ।





