আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও নিমেশ শাহ এবং মানি পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা বিবেক ল উঠতি বিনিয়োগকারীদের বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন। এনএসই পডকাস্টে অংশ নিয়েছিলেন দু’জন। সেখানে আলোচনার সময় তাঁরা প্রায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে। বলেন, ‘বিনিয়োগ এবং ঝুঁকি, একই মুদ্রার দুই পিঠ’।
advertisement
আইনস্টাইনের উদ্ধৃতি:
বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন যে, ‘চক্রবৃদ্ধি হারে প্রাপ্ত সুদ পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। যাঁরা বোঝেন, তাঁরা পান। যাঁরা বোঝেন না তাঁদের মূল্য চোকাতে হয়’। চক্রবৃদ্ধি সুদ আর্থিক ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে চক্রবৃদ্ধি সুদে কীভাবে সময়ের সঙ্গে টাকা বাড়ে সেটা বুঝতে পারলে বিনিয়োগকারীর আর্থিক সাফল্য নিশ্চিত।
ভারতে প্রতি বছর বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ সেট করা হয়েছে। সেখানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৪ থেকে ৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান যোগ করলে বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ। ভারতে এই হার ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে এর মধ্যে থাকা বড় কোম্পানিগুলিও একই রকম প্রবৃদ্ধি অনুভব করবে এবং বৃদ্ধি পাবে। এটা অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে রাখে।
বিনিয়োগ না করলে সঞ্চয় খেয়ে নেবে মুদ্রাস্ফীতি:
নিমেষ শাহ বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার একমাত্র উপায় হল লাভজনক ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করা এবং সেখান থেকে মুনাফা অর্জন করা। বিনিয়োগ বন্ধ করে দিলে ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাবে। জীবনযাত্রার মান কমবে।
আরও পড়ুন-প্রতারকদের অভিনব ফাঁদ; মোবাইল ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে মেসেজ পাঠাচ্ছে ট্রাই
ধৈর্য ধরতে হবে:
বিনিয়োগে বাজারের ওঠা-নামার মোকাবিলা করাই আসল। স্বল্পমেয়াদি বাজারের ওঠা-নামা সমস্যাজনক হতে পারে, তবে বিনিয়োগ যদি দীর্ঘ মেয়াদি অর্থাৎ ৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। দেশের প্রবৃদ্ধি ও কোম্পানিগুলোর আয় বাড়লে বিনিয়োগকারীর নিশ্চিত লাভ হবে। গত এক দশকে (২০১৩ সাল থেকে), ভারতীয় স্টক মার্কেট ১১ থেকে ১৩ শতাংশ গড় রিটার্ন দিয়েছে, যা দেশের ১০ শতাংশ বৃদ্ধির হার থেকে সামান্য বেশি। সফল বিনিয়োগকারী তাঁরাই, যাঁরা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ ধরে রাখেন এবং বাজারের পতন হলেও ভয় পান না।
মাল্টি অ্যাসেট ফান্ড আশীর্বাদস্বরূপ:
দীর্ঘ মেয়াদে এমন ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত, যেখানে মোট কর্পাসের ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ ইক্যুইটি এক্সপোজার থাকবে। আরও একটা ফান্ডের কথা বিনিয়োগকারীরা ভেবে দেখতে পারেন, সেটা হল হল মাল্টি-অ্যাসেট ফান্ড, যা ইক্যুইটি, ঋণ এবং সোনায় বিনিয়োগ করে। পোর্টফোলিওতে ভারসাম্য থাকে আর ঝুঁকিও কমে।