করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সতর্কতা নিয়েছিল কেন্দ্র। প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। পরে পরিষেবা ফের শুরু হলেও কড়া সতর্কতা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংক্রমণ রুখতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল কেবিন ব্যাগেজের ক্ষেত্রে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রক থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে দেশের মধ্যে আকাশপথে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময়ে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ কত পরিমাণ জিনিসপত্র নিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন, তা বলে দেবে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাই। তবে এই নিয়ম শুধু মাত্র ডোমেস্টিক বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেই লাগু হয়েছে।
advertisement
কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় ২ মাসের বেশি সময় বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল দেশ জুড়ে। মালবাহী বিমান ছাড়া শুধুমাত্র বন্দে ভারত মিশনের আওতায় নির্দিষ্ট কিছু বিমান চলছিল। নতুন করে ২৫ মে থেকে বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে। তার পর থেকে এত দিন পর্যন্ত একটি হ্যান্ড লাগেজ এবং একটি চেক-ইন লাগেজ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক যাত্রীকে। বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এর একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, লাগেজ নেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সই।
করোনা কালের আগে বিভিন্ন বিমান সংস্থা যতগুলি বিমান চালাত, এখন তার ৬০ শতাংশ চালানোর অনুমতি পেয়েছে কেন্দ্রের থেকে। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, দীপাবলী থেকে এই বছরের শেষের মধ্যেই ফের সমস্ত বিমান (দৈনিক ৩ লক্ষ যাত্রী) চালু করে দেওয়া হবে। রাজ্যসভায় এয়ার ইন্ডিয়াকে বেচে দেওয়া নিয়েও বিরোধীদের সঙ্গে বিতর্ক চলে বিজেপি সাংসদদের।
রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী এয়ার ইন্ডিয়ার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপালের অভিযোগ, একতরফা ভাবে বিমানবন্দরগুলির বিড পাচ্ছে আদানি গ্রুপ।