১) না বুঝে বিনিয়োগ করা
বিশ্বের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারী হলেন ওয়ারেন বাফেট। এমন কোম্পানি যার ব্যবসায়িক মডেলের বিষয়ে বিনিয়োগকারী কোনও তথ্য জানেন না সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি৷ এর থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায় হল এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ETFs) বা মিউচুয়াল ফান্ডের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ পোর্টফোলিও তৈরি করা। বিভিন্ন স্টকে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগের আগে নিশ্চিত করতে হবে যে প্রতিটি কোম্পানির স্টকগুলি সম্বন্ধে সব তথ্য জানা আছে কি না।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার গয়না কিনে কী ভুল করছেন ? অবশ্যই জেনে রাখুন সত্যিটা
২) কোনও কোম্পানিকে ভালোবেসে ফেলা
বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার পর যখন সেই কোম্পানি ভাল কাজ করে, তখন বিনিয়োগকারী সেই কোম্পানিকে ভালবেসে ফেলেন। কিন্তু সবসময় মনে রাখতে হবে যে স্টক অর্থোপার্জনের জন্য কেনা হয়েছে।
৩) ধৈর্যের অভাব
ধৈর্যের অভাবের কারণে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই পোর্টফোলিও বৃদ্ধি করার জন্য এবং ভালো রিটার্ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী ধীর ও স্থির দৃষ্টিভঙ্গি।
৪) খুব বেশি বিনিয়োগের টার্নওভার
নিজের পজিশনে অস্থির থাকার কারণে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব হয় না। কোনও ব্যক্তি কম কমিশনের হারের সুবিধার সঙ্গে একজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী না হলে, লেনদেনের খরচ তাঁর সমস্ত সঞ্চয়কে নষ্ট করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: এই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে বেশি আয় নিশ্চিত! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
৫) বাজারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা
অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরও অনেক সময় বাজার ভালো রিটার্ন দিতে পারে না। বাজারের জন্য সঠিক সময় সফলভাবে নির্ধারণ করা অত্যন্ত কঠিন। এমনকী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও অনেক সময় এটি সফলভাবে করতে পারেন না।
৬) সমান হওয়ার অপেক্ষা
অনেক সময় কোনও স্টকে বিনিয়োগ করার পর সেই স্টকের পতন হলে অনেক বিনিয়োগকারী সেই স্টকটি বিনিয়োগের সময়ের দামে না পৌঁছানো পর্যন্ত বিক্রি করার জন্য অপেক্ষা করেন। এমন ধারণাকে “জ্ঞানগত ত্রুটি” বলা হয়।
৭) কত বরাদ্দ হবে
একজন পেশাদার বিনিয়োগকারী বিভিন্ন স্টকে বিনিয়োগ করে আলফা বা একটি বেঞ্চমার্কের উপর নির্ভর করে অতিরিক্ত রিটার্ন পেতে সক্ষম হতে পারে, তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এমন চেষ্টা করা উচিত নয়। একটি এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিও তৈরি করে সমস্ত প্রধান স্থানগুলির এক্সপোজার বরাদ্দ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যক্তিগত স্টক পোর্টফোলিও তৈরি করার সময় সমস্ত প্রধান সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। একটি সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিনিয়োগের জন্য ৫-১০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: দ্বিগুণ টাকা চান? পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা রাখুন, অ্যাকাউন্টে আসবে ডবল টাকা
৮) নিজস্ব ধারণাকে শাসন করতে দেওয়া
বিনিয়োগকারীদের ভয় এবং লোভকে নিজের সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া উচিত নয়। আবেগ দ্বারা শাসিত একজন বিনিয়োগকারী নেতিবাচক রিটার্নকেও দেখতে পায় না। সাধারণত একজন ধৈর্য ধরে রাখতে পারা বিনিয়োগকারী অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে লাভবান হতে পারে।