তবে, তার জন্য দোষ দেওয়া যাবে না। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা কলেজের পড়াশোনা শেষ করে সবে চাকরিতে জয়েন করেছেন, সেই সব পেশাদার ব্যক্তিদের পক্ষে চাকরির জগতের সঙ্গে যুক্ত এই সব পোশাকি ভাষার মানে জানা সম্ভব নয়। তবে, এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা বহু দিন ধরে কাজ করে চলেছেন, অথচ এই বিষয়ে সম্যক ধারণা নেই।
advertisement
এবার কিন্তু জেনে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। কেন না, একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দিয়ে আমরা যে বেতন পাই, তার সঙ্গে এর গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। জীবনে অনেক কিছুই আমাদের না জানলেও কোনও অসুবিধা হয় না, দিব্যি দিন কেটে যায়, কিন্তু উপার্জনের সঙ্গে যা সম্পর্কিত, সেই বিষয়ে সামান্য হলেও ওয়াকিবহাল তো থাকতেই হবে!
প্রাইভেট সেক্টর –
যখন কেউ প্রাইভেট সেক্টরে চাকরিতে জয়েন করেন তখন এইচআর ডিপার্টমেন্ট থেকে তাদের CTC এবং টোটাল CTC-এর মানে ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
CTC এবং টোটাল CTC এর মধ্যে পার্থক্য –
যাঁরা প্রথম চাকরিতে জয়েন করেন, তাঁরা অনেকেই CTC এবং টোটাল CTC-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। এর ফলে অনেকেই ভুল করে ফেলেন এবং তাঁদের অনেকটাই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
CTC মানে কি –
একজন কর্মীকে কোনও কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার পরে তার উপরে কোম্পানির যে টাকা খরচ হয় সেটিকেই বলে CTC। এটা একজন কর্মীর স্যালারি প্যাকেজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরও পড়ুন: সুখবর ! কমল সোনার দাম, দেখে নিন ১ ভরির দাম কমে কত হল
CTC-এর অংশ –
CTC-তে একজন কর্মীর গ্রস স্যালারি ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের লাভ এবং সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বেসিক স্যালারি, এইচআরএ, পিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং অন্যান্য বোনাস।
টোটাল CTC-এর মানে কী –
টোটাল CTC-তে CTC ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় যুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিমা, কাফেটেরিয়ার সাবসিডি, ট্রেনিংয়ের খরচ এবং অন্যান্য বিভিন্ন বোনাস।
টোটাল CTC-তে এগুলিও যুক্ত রয়েছে –
কোম্পানির দ্বারা একজন কর্মীর উপরে করা সমস্ত খরচ হিসাবে ধরা হয় এটিকে। এটি CTC থেকে সবসময় বেশি হয়।
এইচআর দেয় পুরো তথ্য –
একটি কোম্পানির এইচআর জয়েনিংয়ের সময় CTC এবং টোটাল CTC সম্পর্কে সমস্ত তথ্য কর্মীদের জানায়।