TRENDING:

ক্যাপসিকাম চাষ করেই বদলে গিয়েছে ভাগ্য! বছরে ৩০ লক্ষ টাকা আয়!

Last Updated:

ভরতপুর জেলার চিকসানা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পৃথ্বী সিং। বছর দুয়েক আগে নিজের জমিতে শুরু করেন ক্যাপসিকাম চাষ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভরতপুর: প্রথাগত চাষাবাদে উৎসাহ হারাচ্ছেন দেশের কৃষকরা। বদলে অর্থকরী ও উদ্যানজাত ফসলের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। সত্যি বলতে, এতে লাভও হচ্ছে বেশি। আয় বাড়ছে দেশের কৃষকদের। রাজস্থানের ভরতপুর জেলার কৃষকদের কথাই ধরা যাক। বেশ কয়েক ধরনের উদ্যানজাত ফসল ফলাচ্ছেন তাঁরা। ফলে কম খরচে ভাল মুনাফাও পাচ্ছেন।
advertisement

ভরতপুর জেলার চিকসানা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পৃথ্বী সিং। বছর দুয়েক আগে নিজের জমিতে শুরু করেন ক্যাপসিকাম চাষ। উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের কাছ থেকে প্রথমে প্রশিক্ষণ নেন। তার পর ভরতপুরে ফিরে শুরু করেন চাষাবাদ। এই বছর ক্যাপসিকামের ফলন ভাল হয়েছে। আর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ফলে দ্বিগুণ আয় হয়েছে তাঁর। পৃথ্বী সিং জানিয়েছেন যে, ক্যাপসিকাম চাষ করে বছরে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। ফলে তাঁর দেখাদেখি আশপাশের কৃষকরাও নিজেদের জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন।

advertisement

আরও পড়ুন: প্রত্যেক ঘরে এর চাহিদা, ব্যবসা শুরু করলে অল্প দিনেই ধনী হতে পারেন আপনিও!

দু’বছর আগে প্রায় ১০ একর জমি লিজ নিয়ে শুরু হয় চাষ:

কৃষক পৃথ্বী সিং জানান, তাঁদের গ্রামের কাছেই উত্তরপ্রদেশের আগ্রা। বেশি কেনাকাটা করার থাকলে তাঁরা আগ্রাতেই যান। এক দিন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে আলু বিক্রি করতে আগ্রার কিষাণ মান্ডিতে গিয়েছিলেন। সেখানে দেখেন আগ্রার কৃষকরা প্রচুর ক্যাপসিকাম নিয়ে আসছেন বিক্রি করবেন বলে। সেই কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেই ক্যাপসিকাম চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন পৃথ্বীরা।

advertisement

উত্তর প্রদেশের কৃষকদের বক্তব্য, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সবুজ, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম চাষ করে ব্যাপক লাভ পাওয়া যায়। উদ্যানপালন দফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের পলি হাউসে এই ধরনের চাষ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ওই রাজ্যে এমন অনেক কৃষক আছেন, যাঁরা ক্যাপসিকাম চাষ করে খরচের চার গুণ পর্যন্ত লাভ করছেন। আগ্রা, ফিরোজাবাদ থেকে লখনউ এবং বারাবাঁকিতেই সবচেয়ে বেশি ক্যাপসিকাম চাষ হয়। এই সব শোনার পর মূলত পৃথ্বীর উদ্যোগেই ১০ একর জমি লিজ নিয়ে কয়েক জন মিলে শুরু করেন ক্যাপসিকাম চাষ

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

পৃথ্বী সিং জানান, বছরে ৬ থেকে ৭ বার ক্যাপসিকাম তোলা হয়। এক একরে উৎপাদিত হয় প্রায় ১৫ হাজার কেজি। এই বছর বাজারে কুইন্টাল প্রতি ক্যাপসিকামের দাম যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। প্রায় ১০ একর জমিতে চাষ করে বছরে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তাঁরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
ক্যাপসিকাম চাষ করেই বদলে গিয়েছে ভাগ্য! বছরে ৩০ লক্ষ টাকা আয়!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল