প্রধান চাষের অঞ্চল অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র মুসাম্বি উৎপাদনের জন্য পরিচিত, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়া অঞ্চল জনপ্রিয়। তবে অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে কর্ণাটক, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানেও এটি প্রচুর পরিমাণে জন্মে। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের বেশকিছু জায়গাতেই এই ফলের চাষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো এলাকায় মুসাম্বি লেবুর চাষ হচ্ছে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের এক চাষি জানাচ্ছেন, বিক্রিবাটা হয় ঠিকই কিন্তু এই ফল এখানে পাইকারি দরে বিক্রি হয় না। নিজেদের বসে থেকে খুচরো বিক্রি করতে হয়, সেই হিসেবে লাভ মোটামুটি। বছর চারেক ধরে এই চাষ তারা করছেন এমনটাই জানালেন।মুসাম্বি লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। রয়েছে পটাসিয়াম যা ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।এছাড়াও এতে কপার, জিঙ্ক এবং আয়রনও অল্প পরিমাণে থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুসাম্বি লেবুর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, শরীরের আয়রণ শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এই ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। শীতে মুসাম্বি লেবুর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এখন দাসপুরে এই ফলের চাষ নতুন দিশা দেখাচ্ছে। এটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। বছরের বিভিন্ন সময় প্লাবনের জেরে ধান, আলু নানা সবজি নষ্ট হয়ে যায় প্রতিবার। সেক্ষেত্রে লাভজনক চাষ মুসাম্বি লেবুর চাষ। মেদিনীপুর জুড়ে এই চাষ নতুন দিগন্ত নতুন চাষিদের কাছে।





