কম জল, সাধারণ মাটি
এই পেয়ারায় সবুজ পেয়ারার তুলনায় অনেক গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক এবং হৃদয়ের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। ড. ত্রিপাঠীর মতে, মালয়েশিয়ান লাল পেয়ারা চাষ কৃষকদের জন্য খুবই লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে। এই পেয়ারা কম জল এবং স্বাভাবিক মাটিতেও ভাল ফলন দেয়। একটি গাছ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কেজি ফল পাওয়া যায়। বিশেষ বিষয় হল এই ফসল বছরে তিনবার ফল ধরে।
advertisement
মাঠের সীমানাতেও রোপণ করা যেতে পারে
এটি কেবল বড় বাগানেই নয়, মাঠের সীমানায় এবং খালি জায়গায়ও চাষ করা যেতে পারে। এর ফলে ছোট কৃষকরাও সহজেই এটি চাষ করতে এবং তাঁদের আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। এই পেয়ারা রঙ এবং স্বাদ উভয় দিক থেকেই আকর্ষণীয়, তাই বাজারে এটির ভাল দাম পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। শহরগুলিতে, বিশেষ করে ফলের দোকানগুলিতে রঙিন এবং পুষ্টিকর ফলের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ, মালয়েশিয়ান লাল পেয়ারা কৃষকদের জন্য একটি নতুন বাজার এবং আরও ভাল দাম প্রদান করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় এখন শীঘ্রই কৃষকদের জন্য এর বীজ এবং চারা সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কৃষক মেলায় শত শত কৃষক এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং অনেকেই এটি রোপণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে ভরপুর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ফলটি কেবল খেতে সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও আশীর্বাদ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, অন্য দিকে, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। মালয়েশিয়ান লাল পেয়ারা উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে। এটি কেবল তাঁদের আয় বৃদ্ধি করবে না বরং ভোক্তাদের একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ফলও সরবরাহ করবে। ভবিষ্যতে এই পেয়ারা রাজ্যের নতুন পরিচয় হয়ে উঠতে পারে।
