পুরাতন মালদহের কৃষক দীপক রাজবংশী পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁর বাগানে দুইটি লঙ্গনের গাছ লাগিয়েছিলেন। আপাতত একটি গাছে গত বছর থেকে ফলন হচ্ছে। বাজারে বিক্রি পর্যন্ত হচ্ছে এই ফল। তবে মালদহবাসী এই ফল সম্পর্কে এখনও জানেন না। তাই দাম খুব একটা মিলছে না।
advertisement
গত বছর তিনি এই ফল পাইকারি মূল্যে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন। তবে সাধারণত এই ফল বাজারে প্রায় ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। দীপক রাজবংশী বলেন, দেখতে অনেকটা আঁশফল বা কাঠ লিচুর মত হলেও এই ফলের নাম লঙ্গন। মূলত থাইল্যান্ডের এই ফল। মালদহে প্রথম আমি চাষ করছি। আগামীতে এই ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ এই ফল সুস্বাদু বাজারে চাহিদা ভাল।
থাইল্যান্ডের এই ফলের গাছ দীপক রাজবংশী রায়গঞ্জের একটি নার্সারি থেকে নিয়ে এসেছিলেন। ফলটি বেশ ভাল বাজারের চাহিদা রয়েছে। এমনকি এই ফল লিচু ও কাঠ লিচুর পড়ে পাকতে শুরু করে। তাই বাজারে এই ফল ব্যাপক দামে বিক্রিও হচ্ছে। খেতেও লিচুর থেকে অনেক সুস্বাদু মিষ্টি।
আগামীতে এই থাইল্যান্ডের ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে দীপক রাজবংশীর। কারণ বাণিজ্যিকভাবে এই ফল চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এই ফল খেতেও ভাল। এমনকি মালদহের মাটিতে এই গাছ সহজেই বাড়ছে। ফলে গাছের তেমন পরিচর্যারও প্রয়োজন হচ্ছে না। সহজেই গাছ হয়ে যাচ্ছে। তাই আগামীতে এই ফল চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন দীপক বাবু।
হরষিত সিংহ