আর আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের KYC না-করানো হয়, তাহলে ব্যবসায়ীর ওই অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় বা ডি-অ্যাকটিভেট হয়ে যাবে। অর্থাৎ তিনি ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর কোনও ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না। এর ফলে লেনদেনও আটকে যাবে এবং ব্যবসার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
আরও পড়ুন- দাম ৫০ টাকারও কম! ভারতের বাজারে Superhit পারফরম্যান্স এই ১০ সেরা বিয়ারের!
advertisement
বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি (SEBI)-র নয়া নিয়ম অনুসারে, কারওর যদি একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে তাঁকে আগামী ৩০ জুন ২০২২-এর মধ্যেই KYC করতে হবে।
আর KYC ছাড়া ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট আগামী ১ জুলাই থেকে ডি-অ্যাকটিভেট হয়ে যাবে। ফলে নিষ্ক্রিয় ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর শেয়ার বাজারে লেনদেন করা যাবে না। এমনকী যদি একজন ব্যক্তি একটি কোম্পানির শেয়ার কেনেন, তবে সেই শেয়ারগুলো অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরও করা যাবে না। কারণ শুধুমাত্র KYC পূরণ করে তা যাচাই করার পরেই এই লেনদেন সফল হবে।
আগে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের KYC করার শেষ দিন ছিল গত ৩১ মার্চ, ২০২২। কিন্তু পরে তা বাড়িয়ে ৩১ জুন করা হয়েছে। SEBI স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ৩০ জুনের পর থেকে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের KYC করার জন্য আর কোনও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না।
KYC-র জন্য কী কী তথ্য দিতে হবে?
KYC করানোর জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্টধারীদের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নাম, প্যান কার্ডের নম্বর, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি এবং আয়ের সীমা।
আরও পড়ুন- ১ জুলাই থেকে চাকরিজীবীদের জীবনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা! বেতন-PF-ছুটি, বড় সিদ্ধান্ত
যে-সব বিনিয়োগকারী কাস্টোডিয়ান পরিষেবা ব্যবহার করছেন, তাঁদেরও কাস্টোডিয়ান সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। সময়মতো যদি এই সব তথ্য আপডেট করা না-হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীর এক্সচেঞ্জ ট্রেড অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দেওয়া হবে।
কীভাবে KYC করতে হবে?
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট যাতে নিষ্ক্রিয় বা ডি-অ্যাকটিভেট না-হয়ে যায়, তার জন্য স্টক ব্রোকাররা KYC করানোর পরামর্শ দিচ্ছে তাদের ক্লায়েন্টদের অর্থাৎ ডিম্যাট ট্রেডিং অ্যাকাউন্টধারীদের। প্রায় সব ব্রোকারেজ হাউসই অনলাইন KYC-র সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউসের অফিসে গিয়েও KYC করানোর সুযোগ রয়েছে।