প্রায় দেড় বিঘা জমিতে উন্নত প্রজাতির নারিকেল চাষ শুরু করেছিলেন তিনি কয়েক বছর আগে। প্রথমদিকে স্থানীয় এক নার্সারি থেকে সংগ্রহ করেছিলেন কেরল ও অন্যান্য উচ্চফলনশীল জাতের চারাগুলি। চার বছর পর আজ সেই গাছগুলিই তার জীবিকার অন্যতম উৎস।
advertisement
বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি নারিকেল গাছ। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে কমপক্ষে ২০০টি করে নারিকেল উৎপন্ন হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে প্রতিটি নারিকেল গড়ে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করে বছরে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন মহাদেব দাস। এই
চাষে নিয়মিত পরিচর্যার তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় খরচও তুলনামূলক কম। মহাদেববাবুর কথায়, “যে জমি একসময় পতিত পড়ে ছিল, আজ সেটিই আমার পরিবারের আর্থিক ভরসা। সঠিক জাত নির্বাচন আর যত্ন নিলেই নারিকেল চাষে ভাল ফলন পাওয়া যায়।” গ্রামের অন্যান্য মানুষও তার এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন নারিকেল ও সুপারি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সুন্দরবনের এই মাটিতেও সাফল্যের সঙ্গে নারিকেল ফলিয়ে মহাদেব দাস দেখিয়ে দিলেন—মনোভাব ও পরিশ্রম থাকলে গ্রামের পতিত জমিও হয়ে উঠতে পারে সোনার খনি। Input- Julfikar Molla





