মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলি এসআইপি দিতে ভুলে গেলে কোনও ধরনের জরিমানা ধার্য করে না। তবে যদি কোনও বিনিয়োগকারী পর পর ৩ মাস এসআইপি-র টাকা জমা না দেন, তাহলে সেটা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: এই স্টকে অর্থনিবেশ বিনিয়োগকারীদের করছে মালামাল, এক বছরে ১০০%-র বেশি রিটার্ন
বলে রাখা ভাল, এসআইপি-র জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার পদ্ধতি চালু না করার জন্য ব্যাঙ্ক বিনিয়োগকারীকে জরিমানা করতে পারে। যদি বিনিয়োগকারী এই ধরনের ভুল করেন, তাহলে ব্যাঙ্ক ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারিং সার্ভিসের সাহায্যে অটো ডেবিট ম্যান্ডেন্টের জন্য 'বকেয়া পরিমাণ' রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চার্জ করতে পারে। ইসিএস প্রত্যাখ্যানের জন্য প্রতিটি ব্যাঙ্কের আলাদা নীতি রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ৬ টাকাতেই বদলে যাবে ভাগ্য! লাখপতি হতে পারেন আজই , জেনে নিন লটারির ফলাফল
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও আর্থিক অসুবিধা থাকলে বিনিয়োগকারীর উচিত আগে থেকে ফান্ড হাউজকে জানিয়ে রাখা। কয়েক মাস এসআইপি দিতে না পারলে যেন কোনও অসুবিধা না হয়, এই মর্মে অনুরোধ করতে হয়। ফান্ড হাউজ বিবেচনা করে দেখে। আবেদন মঞ্জুরও হয়। বিনিয়োগকারী সক্ষম হলে ফের এসআইপি শুরু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বকেয়া এসআইপি মিটিয়ে দিতে হয়।
এসআইপি দিতে না পারলে কী করণীয়: প্রথমে যেতে হবে এএমসি-র ওয়েবসাইটে। সেখান থেকে বিনিয়োগকারীকে মিউচুয়াল ফান্ড অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। এর পর ‘পজ এসআইপি’-তে ক্লিক করতে হবে। এসআইপি কমপক্ষে এক মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ধরে রাখা যেতে পারে। কিছু এএমসি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ৩ মাস এসআইপি ধরে রাখার অনুমতি দেয়। এসআইপি হোল্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় শুরু হয়। অর্থাৎ আবার ফের নতুন করে প্রথম থেকে এসআইপি দিতে হয়।
