দেশি ঝিংয়ে ও হাইব্রিড জাতের ঝিংয়ে। দেশী জাতের ঝিংয়ে আকারে ছোট, দ্রুত আশ হয়ে যায়, স্বাদে কিছুটা তেতো এবং ফলন কম। অপর দিকে হাইব্রিড জাতের ঝিংয়ে আকারে বড় লম্বা, সুস্বাদু এবং বীজ নরম ও রসালো।তাই বর্তমানে হাইব্রিড জাতের ঝিংয়ে চাষ করার প্রতি বেশি আগ্রহ দেখা যায় সকলের।
আরও পড়ুন: Pan-Aadhaar লিঙ্ক তো করালেন, কিন্তু কাজটা আদৌ হল তো? সেটার প্রমাণ পাবেন কীভাবে?
advertisement
বাজারে এখন হাইব্রিড জাতের অনেক ঝিংয়ে পাওয়া যায়।উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ মাটি ঝিংয়ে চাষের জন্য উত্তম।এই ঝিংয়ের বীজ বপনের উত্তম সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস ।দীপু বাবু জানান ঝিংয়ে চাষের পূর্বে জমিকে প্রথমে ভাল ভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন আগাছা না থাকে।
ঝিংয়ে লাগানোর পর চারাপাতা হলেই মাচা করে দিতে হবে ও নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। সারি থেকে সারির সাধারণ দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হবে ও গোবর সার, খোল, সুপার ফসফেটপ্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার প্রয়োজনে খুব অল্প পরিমাণে প্রয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Pan-Aadhaar লিঙ্ক করা না থাকলে কি ব্যাঙ্কে লকার রাখা যাবে না? জেনে নিন এখনই!
ঝিংয়ে বাদামী রঙের ছাতা রোগের আক্রমণদেখা যায়, পাতায় হলুদ ছোপ পড়ে ও পাতার নীচের দিক বাদামী হয়ে যায়, তাই ছত্রাকনাশক রাসায়নিক স্প্রে করা প্রয়োজন। ঝিংয়ে একটি অতি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফসল, তাই ঝিংয়ের চাহিদাও বেশী। এই চাষ চাষীদের লাভবান করবে সামান্য কিছু খরচে লাভজনক এই ঝিংয়ে চাষ। ঝিংয়ে গাছ লাগানোর দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ঝিংয়ে সংগ্রহ করা যায়।
পিয়া গুপ্তা