বিলম্বিত রিটার্ন কী
নির্ধারিত তারিখের পরে দাখিল করা যে কোনও ITR আয়কর আইনের ১৩৯(৪) ধারার অধীনে বিলম্বিত রিটার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। করদাতারা প্রাসঙ্গিক মূল্যায়ন বছর শেষ হওয়ার তিন মাস আগে বা মূল্যায়ন শেষ হওয়ার আগে, যেটি আগে হয়, যে কোনও সময় এই ধরনের রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
বিলম্বিত রিটার্নের জরিমানা
advertisement
যদিও বিলম্বিত ফাইলিং নিশ্চিত করে যে কেউ রিটার্ন দাখিলের সুযোগ হারাবেন না, ধারা ২৩৪এফ-এর অধীনে লেট ফি প্রযোজ্য হতে পারে:
– নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে ৫০০০ টাকা।
– মোট আয় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ১০০০ টাকা।
অনলাইনে বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করার পদ্ধতি –
– অফিসিয়াল আয়কর পোর্টালে যেতে হবে এবং লগ ইন করতে হবে।
– ই-ফাইল → আয়কর রিটার্ন → আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
– প্রাসঙ্গিক মূল্যায়ন বছর নির্বাচন করতে হবে এবং ফাইলিং মোড হিসাবে অনলাইন সিলেক্ট করতে হবে।
– এরপর প্রযোজ্য অবস্থা (ব্যক্তি, HUF, ইত্যাদি) নির্বাচন করতে হবে।
– উপযুক্ত ITR ফর্মটি নির্বাচন করতে হবে।
– ব্যক্তিগত তথ্য বিভাগে বিশদ যাচাই করতে হবে।
– ফাইলিং বিভাগে স্ক্রল করতে হবে এবং ১৩৯(৪) নির্বাচন করতে হবে।
– এরপর নিজেদের আয় রিপোর্ট করতে হবে, বকেয়া পরিশোধ করতে হবে এবং রিটার্ন জমা দিতে হবে।
রিটার্নে ভুল তথ্য দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে
অনেক করদাতা এলআইসি, মেডিক্লেম, গৃহ ঋণের সুদ এবং অনুদানের মতো ডিডাকশন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে কর সাশ্রয় করতে চান। কিন্তু আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আয়কর বিভাগ এআই-এর মাধ্যমে রিটার্নের তথ্য বিশ্লেষণ করে। ভুল তথ্য দিলে নোটিস আসতে পারে।