২০০৯ সালে মন্দার কবলে পড়ে গোটা বিশ্ব। সেই সময় সোনাই বাঁচিয়ে রেখেছিল। তারপর ২০১১ সাল নাগাদ সোনার দাম পৌঁছয় ১,৮২৩ ডলারে। বিশ্ব অর্থনীতি ঠিক যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করল, শক্তি অর্জন করল ফিয়াট মুদ্রা। সেই সময় অর্থাৎ ২০১৩-১৪ সাল জুড়ে সোনার দাম কমেছে। ফের বাড়ার আগে ২০১৫ সালে সোনার দাম ১,০৬১ ডলারে নেমে আসে। ২০১৯ সালে কোভিড বিধ্বস্ত দেশগুলিতে সোনার দাম বাড়ে। পৌঁছয় ১৯৭৪ ডলারে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাম্পসাম ইনভেস্টমেন্ট কী, কীভাবে কাজ করে? জেনে রাখলে বিনিয়োগে লাভই লাভ!
আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণে কি এবার ধীরে চলতে চায় সরকার? বাজেট ২০২৩ নিয়ে কী ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা?
সোনা কি এখন নিরাপদ: কঠিন সময় অর্থাৎ অর্থনীতি যখন লড়াই করে তখন সোনার দাম বাড়ে। অনিশ্চিত সময়ে সম্পদ রক্ষা করতে চাইলে সোনায় বিনিয়োগই আদর্শ। সোনা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে হেজ হিসাবে কাজ করতে পারে। যখন মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকে, তখন এক্সএইউ সাধারণত বেড়ে যায়। স্বর্ণ দুষ্প্রাপ্য, এই কারণেও বিশেষজ্ঞরা সোনাকে ভাল বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে দেখেন, অর্থনীতির স্বাস্থ্য যাই হোক না কেন। পৃথিবীতে সোনা সীমিত, তাই চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর দামও বাড়তে থাকবে। ইলেকট্রনিক্স সোনার উপর অনেক বেশি নির্ভর করে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর খুব একটা পরিবর্তন হবে না। তাই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে সোনার কোনও তুলনা চলে না। স্বল্পমেয়াদেও এর বৃদ্ধি উপভোগ করা যায়।
পরিশেষে: বাজারের সাম্প্রতিক ওঠানামা সত্ত্বেও সোনা স্থিতিশীল বিনিয়োগ মাধ্যম। এবং বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, সোনার ব্যবসা বা বিনিয়োগের জন্য ২০২৩ সাল ভাল সময়। এই বছর বিশ্বব্যাপী সুদের হার বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে সম্ভাব্য মন্দার প্রস্তুতির জন্য এটা দরকার। উচ্চ সুদের হার হল, কোষাগারের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এই সময়েই সোনার দাম বাড়ে। তবে মাথায় রাখতে হবে, বাজারের আচরণ যে ফের আগের মতোই হবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। তাই নিজের আর্থিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করেই বিনিয়োগ করা বা না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।