আর কর্মী ছাঁটাই এমন একটা বিষয়, যা বিধ্বস্ত করে দেয় কর্মচারীদের। আসলে মাসিক আয়ের পথ আমচকাই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ হোম লোন অথবা কার লোন অনেকেই নিয়ে থাকেন। প্রতি মাসে যার ইএমআই পরিশোধ করতে হয়। যেহেতু এই মুহূর্তে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি সংবাদ শিরোনামে বারবার উঠে আসছে, তাই অনেকেই চাকরি হারানোর ভয়ে সেই সংক্রান্ত বিমা কিনছেন। কারণ চাকরি খোওয়ালে এই বিমাই আর্থিক নিরাপত্তা কিছুটা হলেও সুনিশ্চিত করতে পারবে।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান? সবার আগে এই ৪ পদক্ষেপ করুন, না হলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে!
এই ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট বিমা পরিকল্পনা রয়েছে। যা এই ধরনের ঝুঁকির ক্ষেত্রকে কভার করে। এটাই সেরা উপায় নয়। আসলে একটি বিমা পলিসি সবথেকে ভাল কাজ না-ও করতে পারে, কারণ এই ক্ষেত্রের বেশির ভাগ পলিসি শুধুমাত্র অনৈচ্ছিক চাকরি হারানোর বিষয়টাকেই কভারেজ দেয়। এক জন কর্মচারীর জন্য এটা প্রমাণ করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যে, তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি হারাননি। এমনকী কোনও কোনও অফিসে তো কর্মীদের জোর করে তাঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু দীর্ঘায়িত বেকারত্বের ক্ষেত্রে এই ধরনের কভারেজের জন্য বিদ্যমান বিমা পরিকল্পনাগুলি পুনর্নবীকরণ না-করা ঠিক হবে না। এর উপযুক্ত উদাহরণ হতে পারে চিকিৎসা বিমা।
আরও পড়ুন: আজকে সোনার দাম কত হল ? জানলে চমকে যাবেন আপনিও
কাজ হারিয়ে ফেলা কর্মচারীদের সমস্যা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। কারণ কর আধিকারিকরা এর পর সামনে আসেন। আসলে কর আধিকারিকদের আসার কারণ হচ্ছে সেভারেন্স প্যাকেজ হল করযোগ্য। কিন্তু তাঁদের দাবি, কিছু শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে ছাড় প্রয়োজন। যা ট্যাক্স কনসালটেন্টরা খুব ভাল ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, লিভ ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স সেভারেন্স প্যাকেজের অংশ। যা করযোগ্য আয় থেকে কেটে নেওয়া হয়। চাকরি নিরাপত্তাহীনতা সংক্রান্ত সময়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ সীমিত করার জন্য পার্সোনাল ফিনান্সের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার।
লোন পরিশোধ করা হচ্ছে সব থেকে সমস্যার বিষয়। তাই চাকরি থাকাকালীনই লোন পরিশোধের একটি কৌশল ছকে ফেলা আবশ্যক। পার্সোনাল ফিনান্স এক্সপার্টদের পরামর্শ, একটি কন্টিনজেন্সি ফান্ড সব সময়ই তৈরি করে রাখা উচিত। যা অন্ততপক্ষে তিন মাসের জন্য লোন পরিশোধের বিষয়টাকে নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে। অর্থাৎ কন্টিনজেন্সি ফান্ড দুঃসময়ে ভীষণই কাজে লাগে।