https://twitter.com/elonmusk/status/1605372724800393216?s=20&t=S1jDbTYmh4oWK17KPO1DeQ
উপরের কথাগুলো এলন মাস্কের বলে যদি সন্দেহ হয় কারও, তাহলে তাঁর জন্য রইল এই ট্যুইট! যা ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে যখন সকাল ৬টা বেজে ৫০ মিনিট, ঠিক তখন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে ছেড়েছেন ট্যুইটার-কর্তা। আণবিক বিস্ফোরণ হলেও বোধহয় এতটা হইচই হত না। কিন্তু মাস্কের এ হেন ট্যুইট বাণিজ্যিক এবং ভক্তমহলে বেশ জলঘোলা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে বইকি!
advertisement
আরও পড়ুন: ভুল UPI আইডি-তে টাকা পাঠিয়ে ফেলেছেন? চিন্তা নেই! ঠান্ডা মাথায় শুধু এই কাজগুলি করতে হবে!
অবশ্য, ভক্তের সংখ্যা তাঁর এখন হালে কতটা টিকে আছে, তা বলা মুশকিল। এই প্রশ্ন উঠছে সাম্প্রতিক এক ট্যুইটার ভোটের নিরিখে, যা নিজেই লঞ্চ করেছিলেন এলন মাস্ক রবিবার। সেই ট্যুইট পোলে তিনি অনুরাগী এবং অন্য ইউজারদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন শুধু একটাই প্রশ্নের উত্তর- তাঁর কি ট্যুইটারের সিইও হিসেবে চেয়ার আঁকড়ে থাকা উচিত?
রবিবার সন্ধ্যায় লঞ্চ হওয়া সেই ভোট মাস্কের পক্ষে যায়নি। বেশিরভাগ ইউজার নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন- মাস্কের ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে সরে আসাই উচিত হবে!
এ কি তাহলে অভিমান?
বাণিজ্যিক দুনিয়ার অন্যতম হর্তাকর্তা নিছক অভিমানের বশে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেবেন, এ মনে করার কোও কারণ নেই। অনেকে প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে তাহলে এত কাণ্ড করে ট্যুইটারের মালিকানা নেওয়ার মানেটা কী! তার উত্তর লুকিয়ে আছে মাস্কের ট্যুইটের স্রেফ একটা শব্দে- 'মূর্খ'!
সংস্থার মালিকানা নেওয়াটা মাস্কের কাছে অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইগো-র ব্যাপার! সে ব্যাপার মিটেছে, সংস্থা তাঁরই, অতএব, এখন আর তার চেয়ার আঁকড়ে না থাকলেও চলে। বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিট যখন লাল আলোর সংকেত দিচ্ছে টেসলা-র ক্ষেত্রে। বলছে যে মাস্ক যদি ট্যুইটার নিয়ে মেতে থাকেন, তাহলে টেসলা-র শেয়ার নিচে নামতে বেশি সময় লাগবে না। হাজার হোক, তিনিই ওই বৈদ্যুতিন গাড়ি সংস্থার প্রধান ডিজাইার এবং ইঞ্জিনিয়ার।
এবার শুধু দেখার কে ট্যুইটারের সিইও-র চেয়ারে বসেন!