১) ফান্ড নির্বাচন -
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইক্যুইটি ফান্ড রয়েছে। এর ফলে এই ধরনের ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে (Equity Mutual Fund) বিনিয়োগ (Investment) করার আগে দেখে নেওয়া প্রয়োজন কোন ফান্ড কত পরিমাণে রিটার্ন দিয়েছে। এর জন্য সঠিক ভাবে প্রতিটি ইক্যুইটি ফান্ড দেখে নেওয়া প্রয়োজন। কোন ইক্যুইটি ফান্ড আগে কত টাকা রিটার্ন দিয়েছে, বর্তমানে সে কত টাকা রিটার্ন দিচ্ছে তার বিনিয়োগকারীদের এবং তার রিটার্ন দেওয়ার পরিমাণ কত ইত্যাদি সব জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এর পর নিজেদের পছন্দমতো ইক্যুইটি ফান্ড বেছে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার নিজেদের প্রয়োজন এবং সময় অনুযায়ী বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - Mutual Fund Investment: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ? এই ভুলগুলো থেকে সাবধান!
২) সঠিক ফান্ড -
বিনিয়োগ শুরু করার আগে বাজার সম্পর্কে ভাল করে জেনে নিতে হবে। কোথায় বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা উচিত। শেয়ার বাজারে যেহেতু ওঠা-নামা লেগে থাকে, তাই বিনিয়োগ করার আগে সেই সকল ফান্ড সম্পর্কে ভাল করে জেনে নেওয়া দরকার। এমন ফান্ডে বিনিয়োগ করা দরকার যারা অতীতে তার বিনিয়োগকারীদের ভাল রিটার্ন দিয়েছে।
আরও পড়ুন - Weather Update: হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, কলকাতা সহ দেশের একাধিক অংশে লু -র সতর্কতা জারি
৩) নিয়মিত বিনিয়োগ -
বিনিয়োগের শুরুতেই যদি ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করতে হয় তাহলে সবথেকে ভাল অপশন হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে লম্বা সময় ধরে বিনিয়োগ করে গেলে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক হারে একটানা বিনিয়োগ করে গেলে একটা ভাল ফান্ড গড়ে তোলা সম্ভব।
৪) ধৈর্য ও শৃঙ্খলা -
বিনিয়োগের শুরুতেই মাথায় রাখা দরকার যে ভাল রিটার্ন পাওয়ার জন্য ধৈর্য ও শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ধৈর্য ধরতে হবে বেশি রিটার্ন পাওয়ার জন্য। একটি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে যেতে পারলে এবং ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে পারলে তবেই ভাল ফান্ড গড়ে তোলা সম্ভব।