কেন না, শেয়ার বাজারে ঝুঁকি রয়েছে। তবে সরকারি স্কিম, বন্ড, ব্যাঙ্ক ডিপোজিট স্কিমের মতো বিনিয়োগে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। এই সব ক্ষেত্রে ঝুঁকির কোনও প্রশ্ন নেই।
আরও পড়ুন: পিপিএফ থেকে আপনি পেতে পারেন বেশি সুদ ! জেনে নিন কীভাবে ….
এবার ব্যাঙ্ক ডিপোজিট স্কিমের কথা যদি ওঠে, সবার আগে বেশিরভাগ ব্যক্তিরই মাথায় আসবে ফিক্সড ডিপোজিটের প্রসঙ্গ। এর মধ্যে ভুল কিছু নেই। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলো ফিক্সড ডিপোজিটে বেশ ভাল হারে সুদ অফার করছে। এবার যদি সিনিয়র সিটিজেনের কথা ধরা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে সুদের হার সাধারণ নাগরিকের তুলনায় ফিক্সড ডিপোজিটে বেশিই হয়। কেউ চাইলে পরিবারের প্রবীণ সদস্যের নামেও ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন ব্যাঙ্কে।
advertisement
মাথাপিছু সম্পদ পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
প্রায় ৬০টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিগত দুই দশকে ভারতের প্রকৃত মাথাপিছু আর্থিক সম্পদ পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্য যে কোনও উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় সেরা পারফরম্যান্স। বিগত বছর সিকিউরিটিজ সর্বোচ্চ ২৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে বিমা এবং পেনশন ১৯.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাঙ্ক আমানত ৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্যান কার্ডে কীভাবে ঠিকানা বদলাবেন ? জেনে নিন অনলাইন প্রক্রিয়া
আর্থিক সম্পদে ৯.৪% বৃদ্ধি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রকৃতপক্ষে মুদ্রাস্ফীতির পরে আর্থিক সম্পদ ৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ক্রয়ক্ষমতা মহামারীর পূর্ববর্তী স্তরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এটি পশ্চিম ইউরোপের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে ২০১৯ সাল থেকে ক্রয়ক্ষমতা ২.৪ শতাংশ কমই রয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে প্রতি ভারতীয়ের নিট আর্থিক সম্পদ ছিল মাথা পিছু ২,৮১৮ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিট আর্থিক সম্পদ ২,৮১৮ ডলারে পৌঁছেছে
ভারতের মাথা পিছু নিট আর্থিক সম্পদ ১৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৮১৮ ডলারে পৌঁছেছে। ভারতের মাথা পিছু দায় ১২.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে পারিবারিক ঋণ জিডিপির ৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সম্পদ বৃদ্ধির অর্ধেকই এসেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বিগত দশকে আমেরিকান পরিবারগুলি বিশ্বব্যাপী সম্পদ বৃদ্ধিতে ৪৭ শতাংশ ভূমিকা নিয়েছে, যেখানে চিন ২০ শতাংশ এবং পশ্চিম ইউরোপ ১২ শতাংশ অবদান রেখেছিল।”