সাধ্যের নীচে জীবনযাপন:
নিজের সাধ্য থেকে নিচে নেমে জীবনযাপন করাই আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম মূলমন্ত্র। এর অর্থ হল, আয়ের তুলনায় কম খরচ। এই মন্ত্র মেনে চলার জন্য বাজেট তৈরি করতে হবে, খরচের উপর নজর দিতে হবে। সঞ্চয় এবং বিনিয়োগকেও প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক।
আগে সঞ্চয়, পরে খরচ:
advertisement
ফান্ড অ্যালোকেশনের আগে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর জন্য আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ সরিয়ে রাখতে হবে এবং সেটা কোথাও লগ্নি করে দিতে হবে। অবসরকালীন সময়, জরুরিকালীন পরিস্থিতি অথবা আর্থিক লক্ষ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অপরিহার্য। তাই সঞ্চয় ও বিনিয়োগ হচ্ছে প্রাথমিক লক্ষ্য।
আয়ের উৎসকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করা:
একাধিক উৎস থেকে রাজস্ব উৎপাদন করা ভাল। কারণ আয়ের একমাত্র উৎস কিন্তু বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আয়ের একাধিক উৎস থাকলে আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক আয় বৃদ্ধি পায়। তাই চাকরি কিংবা ব্যবসার পাশাপাশি পার্ট-টাইম চাকরি, ফ্রিল্যান্স কাজ, রেন্টাল আয় অথবা পরোক্ষ আয়ের উৎস থেকে আয় করা যাবে।
বুদ্ধি করে বিনিয়োগ:
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। আর ভাল করে বুঝেশুনে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। প্রথম থেকেই বিনিয়োগ শুরু করলে বিনিয়োগকারী কম্পাউন্ড ইন্টারেস্টের সুবিধা লাভ করতে পারেন। আর সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্যও কার্যকরী ভাবে পূরণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ছেলেটা হন্যে হয়ে গেল খুঁজে খুঁজে, আপনি পারবেন লুকনো আইসক্রিমটা বের করে দিতে? হাতে রইল ১১ সেকেন্ড
ডেট ম্যানেজমেন্ট:
আর্থিক স্বাধীনতায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে উচ্চ হারের সুদ সংক্রান্ত ডেট। তাই আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য ডেট ম্যানেজমেন্ট জরুরি বিষয়।
সুস্পষ্ট আর্থিক লক্ষ্য:
আর্থিক স্বাধীনতার জন্য সুস্পষ্ট আর্থিক লক্ষ্য তৈরি করা আবশ্যক। আর্থিক লক্ষ্য সুন্দর এবং সুস্পষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক অ্যাডজাস্টমেন্ট বজায় রাখা আবশ্যক।
তথ্য জানা এবং শেখা:
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে নতুন পরিস্থিতি, নয়া প্রযুক্তি এবং নতুন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সব সময় অবগত থাকতে হবে। এতে প্রাসঙ্গিক এবং প্রতিযোগিতামূলক থাকা যায়।
ধৈর্য্য়শীল এবং অধ্যবসায়ী:
আর্থিক স্বাধীনতা লাভ করার জন্য সময় এবং নিয়মানুবর্তিতা আবশ্যক। ধৈর্য্য ধরে থাকলে দেরির বিষয়টা সহন করা সম্ভব হয়। এর মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য লাভ করা যাবে।
বারবার পর্যালোচনা এবং পরিকল্পনা সঠিক করা:
আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টা কিন্তু স্থিতিশীল নয়। কারণ পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল। তাই বারবার বাজেট, বিনিয়োগ এবং লক্ষ্য পুনঃপর্যালোচনা করা জরুরি।