আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথম দিন কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে কত হল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম...
এই স্কিমের নাম দেওয়া হয়েছে গ্রাম সুমঙ্গল গ্রামীণ ডাক জীবন বিমা যোজনা (Gram Sumangal Rural Postal Life Insurance Scheme)। এটা একটা এনডাউমেন্ট স্কিম। যা গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী গ্রাহকদের মেয়াদ শেষে সুদ-সহ টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি বিমাও প্রদান করে। এই স্কিমের আওতায় ২ ধরনের প্ল্যান রয়েছে। প্রথমটি, পোস্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। দ্বিতীয়ত, রুরাল পোস্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলের বিরাট সিদ্ধান্ত! এবার ট্রেনের কনফার্মড টিকিট পাবেন পোস্ট অফিস থেকেই
১৯৯৫ সালে গ্রাম সুমঙ্গল গ্রামীণ ডাক জীবন বিমা যোজনা প্রকল্প শুরু হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, গ্রামীণ জনসাধারণকে বিমা কভার প্রদান করা। বিশেষ করে গ্রামের প্রান্তিক এবং মহিলাদের মধ্যে বিমা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই স্কিম চালু করেছিল কেন্দ্র।
এই প্রকল্পে ৩ খেপে টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ মেয়াদ শেষের আগেই হাতে টাকা আসার সুবিধা আছে। পলিসি ম্যাচিওর হবার পরে পুরো টাকা তোলা যাবে। এছাড়া যদি ম্যাচিওর হবার আগে কেউ মারা যায় তাহলে পলিসি টাকার পাশাপাশি বোনাসও মিলবে। ১৯ বছর বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যায়।এই স্কিম চালু থাকবে ১৫ বা ২০ বছরের জন্য। গ্রাহকের বয়স ৪০-এর কম হলেই ২০ বছরের পলিসি মিলবে।
আরও পড়ুন: ট্যাক্স ছাড়ের জন্য কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, জীবনবিমা না মেডিক্লেম পলিসি?
স্কিমের সুবিধা
· গ্রাম সুমঙ্গল স্কিমটি করা যাবে ১৫ এবং ২০ বছরের জন্য।
· পলিসি ম্যাচিউর হওয়ার আগেই তিনবার টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি পলিসি ম্যাচিওরের পর পুরো টাকা পাবে গ্রাহক।
· যদি পলিসির মেয়াদ শেষের আগেই কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। পলিসির টাকার পাশাপাশি বোনাসও পাওয়া যাবে।
কারা আবেদন করতেন পারবেন
· যে কোনও ভারতীয় নাগরিক।
· প্রকল্পের আওতায় থাকতে হলে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৯ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।
· ১৫ বছর বা ২০ বছরের জন্য এই পলিসি করা যেতে পারে।
· ২০ বছর পলিসি নেওয়ার সর্বাধিক বয়সসীমা ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে, সর্বাধিক বিমার পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
প্রকল্পে প্রতি বছর ৪৮ হাজার টাকার বোনাস পাওয়া যায়। এক বছরে সাম অ্যাসিওর্ডের ৭ লক্ষ টাকার বোনাস ৩৩৬০০ টাকা। ২০ বছর ধরে যা দাঁড়াবে ৬.৭২ লাখ টাকা। ২০ বছরে গ্রাহককে বাকি ৪.২ লক্ষ টাকাও দেওয়া হবে। সমস্ত অর্থ যোগ করে ২০ বছরে মোট ১৯.৭২ লক্ষ টাকা মিলবে।