সঠিক বিমা পলিসি (Health Insurance) নির্বাচন করা হল হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত খরচ কমানোর প্রথম ধাপ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন স্বামী এবং স্ত্রীর মাতৃত্ব বিমা-সহ (Maternity) পৃথক স্বাস্থ্য কভার থাকলে তাঁরা আরও বেশি টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। কারণ উভয়ই তাঁদের নিজ নিজ পলিসি থেকে এই টাকা দাবি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন - WC Qualifier: ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোল, বিশ্বকাপে থাকছে রোনাল্ডোর পর্তুগাল
advertisement
অর্থনৈতিক সংকট থেকে রক্ষা করে: মাতৃত্ব (Maternity) কভার-সহ স্বাস্থ্য বিমাগুলি যে কোনও রকম অর্থনৈতিক সংকট থেকে একটা পরিবারকে রক্ষা করতে পারে। কীভাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি একটা জ্বলন্ত সমস্যা। নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দামই হু-হু করে বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই খরচও বাড়ছে। কিন্তু সঠিক স্বাস্থ্য বিমা করা থাকলে তা সন্তানের জন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিসের খরচ এবং নবজাতকের চিকিৎসার খরচ বহনে সহায়তা করে। তাই মাতৃত্বকালীন বিমা (Maternity Cover) যথেষ্ট সাবধানে বেছে নিতে হয় যাতে পলিসিধারক সুবিধাগুলি পেতে পারেন।
কী কী সুবিধা পাওয়া যায়? মাতৃত্বকালীন বিমা (Maternity Cover) একটি বিশেষ ধরণের স্বাস্থ্য বিমা যা কোনও মহিলার গর্ভাবস্থা, প্রসবের পাশাপাশি প্রসবোত্তর সময়ে যে কোনও বা সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে ভর্তির খরচ, ওষুধ, পরীক্ষা, চেকআপ ইত্যাদি।
মাতৃত্ব কভার-সহ স্বাস্থ্য বিমা সাধারণত স্বাভাবিক এবং সিজারিয়ান ডেলিভারি কভার করে। এটি একটি স্বতন্ত্র নীতি হিসাবে কিংবা প্রধান স্বাস্থ্য নীতির সঙ্গে একটি অ্যাড-অন কভার হিসাবে আসতে পারে। সাধারণত, মাতৃত্ব কভার-সহ একটি স্বাস্থ্য বিমা পলিসি প্রাক-জন্মকালীন এবং প্রসবোত্তর উভয় পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তির খরচ, নবজাতক শিশুর খরচ (৯০ দিন পর্যন্ত), ডে-কেয়ার চিকিৎসা, নবজাতকের টিকা দেওয়ার খরচ, অ্যাম্বুলেন্স খরচ, ইত্যাদি কভার করে। শুধু তাই নয়, সদ্যোজাতর কোনও জন্মগত ত্রুটি থাকলে তার চিকিৎসার ব্যয়ভারও বহন করা হয়।
তবে কোন পলিসি বাছা হচ্ছে তার উপর এই কভার নির্ভর করে। তাই ক্ষেত্র বিশেষে এই সুবিধাগুলি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে গর্ভবতী হওয়ার পর এই বিমা করানো যায় না। তাছাড়া বয়স ১৮ বছরের কম এবং ৪৫ বছরের বেশি হলে এই বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে না।