ধরা যাক একজনের বাবার একটি জয়েন্ট সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল, যার দ্বিতীয় যৌথ ধারক ছিলেন ওই ব্যক্তি নিজেই। বাবা ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ সালে মারা যান। যেহেতু তিনি একজন যৌথ অ্যাকাউন্টধারী ছিলেন, তাই বাবার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পর ওই সেভিংস অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স একই শাখায় তাঁর নামে খোলা একটি নতুন একক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়। এবার দেখে নেওয়া যাক যে, এই পরিমাণে টাকার উপর কর দায় কত এবং এটি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্নে (ITR) কোথায় দেখাতে হবে।
advertisement
বিশেষজ্ঞর পরামর্শ:
১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৫৬(২)(x) ধারায় এক বছরে প্রাপ্ত উপহারের উপর কর আরোপের বিষয়টি আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়েছে যে, যদি একটি আর্থিক বছরে প্রাপ্ত সমস্ত উপহারের (নগদ বা জিনিসপত্রের) মোট মূল্য ৫০,০০০ টাকার বেশি না হয়, তাহলে সেগুলো প্রাপকের আয় হিসেবে গণ্য হবে না। তবে, এক বছরে সকল উৎস থেকে প্রাপ্ত এই ধরনের উপহারের মোট মূল্য ৫০,০০০ টাকার বেশি হলে, পুরো মূল্যকেই আয় হিসেবে গণ্য করা হবে এবং কর আরোপ করা হবে – প্রথম ৫০,০০০ টাকার জন্য কোনও মৌলিক ছাড় নেই।
আরও পড়ুন: ITR Filing 2025: আর মাত্র ৩০ দিন বাকি, আবার কি সময়সীমা বাড়ানো হবে?
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই সীমা সমস্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত মোট উপহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত উপহারের ক্ষেত্রে নয়। তবে, উইলের অধীনে বা উত্তরাধিকার হিসেবে প্রাপ্ত পরিমাণ ধারা ৫৬(২)-এর আওতার বাইরে এবং করযোগ্য নয়। যেহেতু ভারতে উত্তরাধিকার কর নেই, তাই বাবার মৃত্যুর পরে যে অর্থ পাওয়া গিয়েছে, তা আয় হিসেবে গণ্য হবে না, পরিমাণ যাই হোক না কেন!
এখানে ধরে নেওয়া যাক যে, আইনি উত্তরাধিকারী কেবল একজনই আছেন। যদি অন্য কোনও আইনি উত্তরাধিকারী থাকে এবং বাবা বৈধ উইল না রেখে মারা যান, তাহলে অন্যদের সঙ্গে অর্থ ভাগ করে নিতে হতে পারে। যদি বাবা নির্দিষ্ট সুবিধাভোগীদের নাম উল্লেখ করে একটি উইল রেখে যান, তাহলে তাঁদের কাছেও অর্থ হস্তান্তরিত করতে হবে।
যদি অন্য কোনও দাবিদার না থাকে এবং কেবলমাত্র একজন আইনি উত্তরাধিকারী হিসাবে অর্থ লাভ হয়, তাহলে এটি আয় হিসাবে বিবেচিত হবে না এবং তা এই বছরের জন্য ITR-তে প্রকাশ করারও প্রয়োজন নেই।