সংস্থার পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে বলা হয়েছিল যে ১৫ মাসের মেয়াদে তারা প্রথম পর্যায়র কাজ শেষ করবে। কিন্তু এরপর বিশ্ব জুড়ে মহামারী কোভিডের সূচনা ঘটে। কোভিডের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় এই বিনিয়োগ করা বা কাজ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন– শীত কি আরও বাড়বে, কতটা নামবে পারদ? জেনে নিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
advertisement
বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা আইটি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে বাংলার সিলিকন ভ্যালিতে তাদের প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করা যায়। কোভিডের পরবর্তীকালে রাজ্যে আইটি ও টেলিকম সংস্থাগুলি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যার ফলে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখ দিয়েছে।রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১১ সালে ১৮ নভেম্বর নিউটাউনে প্রথম জমি পায় ইনফোসিস। ৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৫০ একর জমি পায় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। ঠিক হয়, ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ পাবে তারা এবং প্রাপ্য জমির ৭৫ শতাংশ জমিতে তথ্যপ্রযুক্তি বা সেই সম্পর্কিত কাজ করতে হবে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে নিউটাউন ইকো পার্কের ৪ ও ৫ নম্বর গেটের উল্টোদিকে ২০০ একর জমির উপর বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালের ১৩ অগাস্ট এই ভ্যালির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে উইপ্রো, ইনফোসিসকে আরও জমি দেব, কিন্তু দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে অবশেষে কাজ শুরু করে ইনফোসিস।
এই ক্যাম্পাসিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন ইনফোসিসে কর্মরত রাজ্যের যুবক- যুবতীরা নিজের রাজ্যে ফিরে এসে চাকরি করতে পারবেন। তেমনই রাজ্য সরকারের জন্যও যে এটি একটি বড় সফলতা হিসেবে প্রমাণিত হবে । গত বছরের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা আইটি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানা গিয়েছে।২০২৩ সালের শুরুর দিকেই দেশের অন্যতম আইটি সংস্থা ইনফোসিস জানিয়ে ছিল তারা কলকাতায় হাজির হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের খবর শুনিয়েছিল কোম্পানি। রাজারহাটের মানি কাসাডোনায় চল্লিশ হাজার স্কোয়ার ফুটের অফিস অধিগ্রহণ করে ইনফোসিস। পাশেই নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ৩-তে চলছিল নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। এই ক্যাম্পাসের নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।