দীর্ঘদিন ধরেই নামী সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলিকে ভারতে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। উদ্দেশ্য, বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে দেশের ভিত মজবুত করা। এ দিন মোদি বলেন, ‘সেমিকন ইন্ডিয়ার অংশ হিসেবে আমরা এতদিন ভর্তুকি দিচ্ছিলাম। বর্তমানে তা আরও বাড়ানো হল। এখন প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন কারখানা স্থাপন করলে ৫০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা পাবে’।
advertisement
বছর খানেক আগেও বিদেশি প্রযুক্তি সংস্থাগুলি জিজ্ঞেস করত, ভারতের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে কেন বিনিয়োগ করব? মোদি বলেন, ‘এখন পাশা পাল্টে গিয়েছে। তারা বলে, ভারতে বিনিয়োগ করছ না কেন’? তিনি যোগ করেন, ‘ভারতের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টর এখন বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আদর্শ’।
আরও পড়ুন : ‘রামায়ণ’ কোন দেশের জাতীয় গ্রন্থ…? নাম শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন! উত্তরে বিরাট চমক
মোদির কথায়, ‘বিশ্বের বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য চিপ সাপ্লাই চেইন প্রয়োজন। এই চাহিদা ভারত মেটাতে পারে’। সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনের উপর কোর্স শুরু করার জন্য ভারতের ৩০০টি কলেজকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেই শিল্প বিপ্লব হয়েছে। বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রত্যক্ষ করবে। আর সেটা ভারতের আকাঙ্ক্ষা দ্বারা চালিত হবে বলে মনে করেন মোদি। ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৩’ ভারতের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে বিনিয়োগে ইন্ধন যোগাবে বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘২০১৪ সালে ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও কম ছিল। কিন্তু ২ বছরের মধ্যে অবস্থা বদলে যায়। ভারতের ইলেকট্রনিক্স রফতানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে’।
শুধু তাই নয়, ভারত থেকে মোবাইল ফোন রফতানিও দ্বিগুণ হয়েছে। মোদি বলেন, ‘যে দেশ একসময় মোবাইল ফোন আমদানি করত, সেই দেশ এখন বিশ্বের সেরা মোবাইল ফোন শুধু তৈরি করছে, তা নয়, রফতানিও করছে’।