ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৪.৫ শতাংশ৷ একাধিক অর্থনৈতিক সংস্থাও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নিয়ে আশঙ্কাজনক পূর্বাভাস দিয়েছে৷ কিন্তু কামাথ এই বিষয়টি মানতে নারাজ৷
Network18-এর এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বললেন, অনেকে যে রকম ভেবেছিলেন, সেরকম ঘটছে না৷ দেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ সম্ভবত ভারতের ক্ষেত্রে U-শেপড ভাবে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে৷ কিছু খারাপ পরিস্থিতি হবে, যেহেতু একটা এতবড় সঙ্কট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ তবে একেবারে নিম্নগামী হবে না৷
advertisement
কামাথের কথায়, 'সাপ্লাই চেন ও লজিস্টিক চেন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দ্রুত৷ রেলের পণ্য পরিবহণ প্রায় আগের মতোই হচ্ছে৷ যেমন ধরুন, দু-চাকার গাড়ি ব্যবসা যে অবস্থায় ছিল, সেখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷' তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাস সঙ্কটের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন গ্রামীণ ভারতকে খুব বেশি হতে হয়নি৷ ফলে কৃষি ক্ষেত্র দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ এমনকী কর্মসংস্থানের বিষয়েও যথেষ্ট ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছেন কামাথ৷
CMIE-র ডেটা অনুযায়ী, জুন মাসে ৭ কোটি কর্মসংস্থার তৈরি হয়েছে৷ তার মধ্যে ১.২ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে৷
করোনা সঙ্কট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ডাক দিয়েছেন৷ কে ভি কামাথ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন, ‘‘ভারতের বাজার বিরাট ৷ বর্তমান সময়ে আত্মনির্ভর ভারতই সঠিক পদক্ষেপ৷ আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ অনুযায়ী, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে গেলে ব্যবসা করার পরিবেশ মসৃণ করতে হবে৷ আমার মনে হয়, সরকার সেই দিকগুলি দেখছে৷ আমি নিশ্চিত সরকার ও শিল্প সংস্থাগুলির কর্ণধাররা একসঙ্গে কাজ করলে আমরা আত্মনির্ভর ভারতের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবো৷’’