কী কী করতে হবে:
১. সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা—
নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভ নেই। তাই একেবারে প্রথমেই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।
২. দীর্ঘ মেয়াদ—
সঠিক সময়ে বিনিয়োগ, দারুন বুদ্ধি খাটিয়ে স্টক কেনা বা বেচাই সাফল্যের আসল চাবিকাঠি। কিন্তু এটা কঠিন কাজ। তবে অল্প সময়ে বেশি লাভ করার চাইতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের কথা ভাবাই ভাল। তাতে ঝুঁকিও খানিকটা কমতে পারে।
advertisement
৩. নিয়মিত বিনিয়োগ—
একসঙ্গে অনেক টাকা বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দীর্ঘমেয়াদে, নিয়মিত বিনিয়োগ করলে উচ্চ আয় পাওয়া যেতে পারে। তাতে ট্রেডিং প্যাটার্নে একটা শৃঙ্খলা থাকে।
৪. পোর্টফোলিও-র বৈচিত্র—
একই ধরনের স্টকে বেশি বিনিয়োগ না করে নানা ধরনের স্টকে বিনিয়োগ করার পরামর্শই দেওয়া হয়। কারণ যদি কখনও বাজারে পতন হয়, সব শেয়ার একসঙ্গে পতন নাও হতে পারে। কিন্তু এক জায়গায় বেশি বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি বেশি থাকে। পোর্টফোলিও-তে বৈচিত্র থাকলে তা খানিকটা ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।
কী কী করা যাবে না:
১. আবেগতাড়িত বিনিয়োগ—
কোনও ভাবেই নিজের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগের পথে পা বাড়ানো যাবে না। বরং যুক্তির কথাই শুনে চলতে হবে সব সময়।
২. অবাস্তব প্রত্যাশা—
এমন ঘটনা বাস্তবে ঘটতেই পারে, যেখানে কোনও বিনিয়োগকারী ৩০০ শতাংশ বা তারও বেশি রিটার্ন পেলেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটা সব সময় ঘটবে। তাই বিনিয়োগের আগে যুক্তি দিয়ে বিষয়টি বুঝে নিতে হবে।
৩. ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেডিং—
অতিরিক্ত লাভের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করে ফেললে বিপদের সম্ভাবনা বেশি। তাতে মূলধন হারানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদে ভাল সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে।
৪. ওভারট্রেডিং—
সফল বিনিয়োগকারীরা সারাদিন কেনাবেচা করেন না। ছোট ছোট অনেক লেনদেন করার চেয়ে দু’একটি বড় লেনদেনে লাভ হতে পারে। তাই একবার বড় ট্রেডিং হলে অন্তত দু’দিন নিজেকে বিশ্রাম দিতে হবে। না হলে পুরো পরিকল্পনা ঘেঁটে যেতে পারে।
Keywords:
Original Link: https://smartmoney.angelone.in/chapter/dos-and-donts-of-trading-in-indian-stocks/
Written By: Paramita Mukhopadhyay