এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মর্গান স্ট্যানলি। সেখানে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য বিশ্ব জুড়ে চলা রাজনৈতিক উত্তেজনাকে দায়ী করা হয়েছে। তারা বলেছে, ‘আমরা আশা করি, ভারতের অর্থনীতি যেভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা বজায় থাকবে। তবে বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তা কিছুটা ধাক্কা খাবে। যা কিছুটা হলেও অর্থনীতিকে স্থবির মুদ্রাস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে’।
advertisement
বাহ্যিক ঝুঁকি বাড়বে: মুদ্রাস্ফীতি হলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতি ৩টি জিনিসের দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। সেগুলি হল অপরিশোধিত তেল, পণ্যের উচ্চ মূল্য এবং বাণিজ্য। এই ত্রিমুখী চাপে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হচ্ছে। ব্যবসা এবং বিনিয়োগের প্রবণতাকে প্রভাবিত করছে’।
আরও পড়ুন-মেট্রোর পরে এবার গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে গাড়ি ! টানেল তৈরি হচ্ছে কলকাতায়
মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে: ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমানোর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধিকেও দায়ী করেছে মর্গান স্ট্যানলি। মনে রাখা প্রয়োজন যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম খনিজ তেল আমদানিকারী দেশ। একই সঙ্গে তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবহারকারীও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে হু-হু করে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। মর্গান স্ট্যানলি বলছে, ‘অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণেই ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হল। এছাড়া মূল্যস্ফীতিও ৬ শতাংশ বাড়তে পারে। চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ৩ শতাংশে প্রসারিত হতে পারে, যা হবে ১০ বছরের সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন - সর্বনাশ! ওমিক্রনের পর এসেছে করোনার নতুন স্ট্রেন, রূপ পাল্টে আরও ভয়ঙ্কর কোভিড
প্রসঙ্গত, ভারত তার চাহিদার ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ১৪০ ডলারে পৌঁছে যায়। যা গত ১৪ বছরে সর্বোচ্চ। অবশ্য তারপর দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু সেটাও খুব বেশি নয়। এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সরবরাহে অনীহার মাধ্যমে চাহিদা সৃষ্টির অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। কারণ যাই হোক অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ভারতকে বেশি দাম দিতে হচ্ছে। যার ফলে দেশের বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।