রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা ২৫টি মার্কেট ক্যাপ ব্যাঙ্কের মধ্যে এইচডিএফসি ১৩ তম, আইসিআইসিআই ১৯ তম এবং এসবিআই ২৪ তম স্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পর্যন্ত এচডিএফসি ব্যাঙ্কের মার্কেট ক্যাপ ছিল ১৫৮.৫ বিলিয়ন ডলার, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ১০৫.৭ বিলিয়ন ডলার এবং এসবিআইয়ের ৮২.৯ বিলিয়ন ডলার।
গত কয়েক বছরে বিশ্ব বাজারে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মার্কেট ক্যাপ বার্ষিক ভিত্তিতে ২৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৫.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে এচডিএফসি ব্যাঙ্কের মার্কেট ক্যাপ বছরে ১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১৫৮.৫ বিলিয়ন ডলারে।
advertisement
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক: মার্কেট ক্যাপের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক হল জেপি মর্গান চেজ। ২০২৪ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের শেষে বার্ষিক ভিত্তিতে তাদের মার্কেট ক্যাপ ৩৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই সময়ে গোল্ডম্যান স্যাক্সের মার্কেট ক্যাপে ৪২.৯ শতাংশ বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর কারণে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত। আঞ্চলিক বাজারগুলিতে এখনও যথেষ্ট চাপ রয়েছে। বলে রাখা ভাল, ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বের সেরা ২৫টি ব্যাঙ্কের মোট মার্কেট ক্যাপ বার্ষিক ভিত্তিতে ২৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
মার্কেট ক্যাপ কী: মার্কেট ক্যাপ অর্থাৎ মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন হল কোনও কোম্পানির শেয়ারের মোট মূল্য। এটা কোম্পানির জারি করা শেয়ারের সংখ্যাকে বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে গুণ করে বের করা হয়। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
ধরে নেওয়া যাক, বাজারে কোনও কোম্পানির ১ কোটি শেয়ার রয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা। তাহলে কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ হল ১০০ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান গণনা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ থেকেই কোম্পানির আকার এবং আর্থিক শক্তি বোঝা যায়। পাশাপাশি সেই কোম্পানিকে স্মল ক্যাপ, মিড ক্যাপ না কি লার্জ ক্যাপ ক্যাটেগরিতে রাখা হবে, তাও ঠিক করা যায়।