সংস্থার দাবি, চিন যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নিজের রূপ দেখায়, এটা ভারতের জন্য একেবারেই সঠিক নয় ৷ দেশের হিতের কথা মাথায় রেখেই ভারত থেকে চিনা সামগ্রী হটাও অভিযানে নামছে এই সংস্থা ৷ ৫০০ -র বেশি প্রডাক্টের একটা সূচি তৈরি হয়েছে তার থেকে প্রায় ৩০০০ পণ্য তৈরি হয়ে ভারতের বাজারে আসে ৷
advertisement
ধাপে ধাপে ২০২১ -র ডিসেম্বরের মধ্যে এই তালিকা পূরণ করে ফেলবে ভারত ৷ চিন থেকে এক লক্ষ কোটি টাকার পণ্য সামগ্রী ভারতে আসে ৷ এই কাজ করে সেটা বন্ধ করতে হবে ৷
এই তালিকায় রোজকার ব্যবহৃত জিনিসের নাম রয়েছে ৷ রয়েছে খেলনা, ফার্নিশিং ফ্যাব্রিক, টেক্সটাইল, বিল্ডার হার্ডওয়্যার, ফুটওয়্যার, গারমেন্ট, রান্নাঘরের জিনিস, লাগেজ, হ্যান্ড ব্যাগ, কসমেটিক্স , গিফট, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র, ঘড়ি, রত্ন ও গয়না, হেল্থ প্রডাক্ট, মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ , দিওয়ালি ও হোলির জিনিস আসে ৷
CAIT -র রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ বিসি ভতরিয়া এই অভিযানের রূপরেখা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ৷ বর্তমানে চিন থেকে ভারতে প্রতি বছর ৫.২৫ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয় ৷ ভারতে সস্তা জিনিসের বাজারের কথা মাথায় রেখে এই পণ্য বিক্রি করা হয় ৷
ভারতে এই মুহূর্তে যে জিনিসগুলি দেশি ও বিদেশি কোম্পানিরা তৈরি করছে তাদের এই তালিকায় এই মুহূর্তে রাখা হয়নি ৷ চিন থেকে পণ্য আমদানি না করতে হয় এটাই লক্ষ্য ৷ তাই এই বাতিলের তালিকায় চিনের পণ্যই রয়েছে ৷ তবে যে পণ্যগুলি টেকনোলজির দিক থেকে অনেক উন্নত এখনই সেই পণ্য রদ করা হবে না ৷ কারণ হয় ভারতকে বা তার বন্ধু কোনও রাষ্ট্রের থেকে সেই পণ্য যোগাড়ের ব্যবস্থা না হওয়া অবধি তা বাতিল করা সম্ভব নয় ৷
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছিলেন এই ধরনের বস্তু উৎপাদন করতে গেলে দেশে লঘু উদ্যোগ, স্টার্টআপকে উৎসাহ প্রদান করা হবে ৷