আইএমএফ ভারত সরকারের সঙ্গে তার অর্থনৈতিক নীতি এবং আর্থিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা করেছে। এই আলোচনার ভিত্তিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে আসন্ন বাজেটে সরকারকে কিছু নীতিগত পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। সঙ্গে বেশ কয়েকটি আর্থিক অনুমানও প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE Breaking: ইউপিআই ট্রানসকশনে ইনসেনটিভ, দুপুরেই বড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র
advertisement
সেই প্রতিবেদনে আইএমএফ খোলাখুলি জানিয়েছে, দরিদ্রদের আরও বেশি করে সাহায্য করা উচিত সরকারের। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিকাঠামো খাতে ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যদিও পেট্রোল ও ডিজেলের উপর আবগারি শুল্ক কমানোর বিরুদ্ধে আইএমএফ। এতে শুধু ধনীরাই উপকৃত হবে বলে মনে করে আইএমএফ-এর কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, মূল্যস্ফীতি কমাতে আবগারি শুল্ক কমানো প্রয়োজন।
কর আদায় বাড়লে রাজস্ব বাড়বে: আইএমএফ নিশ্চিত যে সরকার বাজেটে নির্ধারিত রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। পিএম উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে নিম্ন আয়ের উপার্জনকারীদের বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার এবং রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করছে তারা। আইএমএফ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদিও ভর্তুকি সরকারের রাজস্বে প্রভাব ফেলেছে। তবে জিএসটি সংগ্রহের বিশাল বৃদ্ধি এবং আয়কর সংগ্রহের বৃদ্ধি এই প্রভাবকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে। পেট্রোলিয়াম পণ্যে উইন্ডফল ট্যাক্স সরকারকেও লাভবান করেছে।
আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সরকার জিডিপির ৬.৪ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। এছাড়াও, আইএমএফ ২০২৩-২৪ সালে ৬.২ শতাংশের রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। মোট ব্যয় ২০২৩-২৪ সালে জিডিপির ১৪.৮ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা ২০২২-২৩ সালে ১৫.১ শতাংশ থেকে বেড়েছে৷ আর্থিক ঘাটতি কমাতে মধ্যমেয়াদি কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী; তার আগে জেনে রাখুন বাজেট সংক্রান্ত কিছু বিষয়!
আবগারি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে: ঘাটতি কমাতে পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর আবগারি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এর পাশাপাশি কর্পোরেট ট্যাক্স ও আয়করের ভিত্তি বাড়ানোরও কথাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে জিএসটি, সম্পদ নগদীকরণ, বেসরকারিকরণ, বিদ্যুতের শুল্ক সংশোধন এবং শুধুমাত্র অভাবীদের জন্য ভর্তুকি সুবিধা প্রদান সহ আইটেমের সংখ্যা হ্রাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সংখ্যা কমানোরও পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।