আসলে এটা ব্যবহার করাও খুবই সহজ। কারণ শুধুমাত্র একটা কিউআর কোড স্ক্যান করে ইচ্ছেমতো টাকা কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা সম্ভব। রাস্তার ধারের কোনও জিনিস বিক্রেতাই হোক, আবার বড় কোনও শপিং মল অথবা বড় কোনও দোকানই হোক - সব জায়গাতেই যেন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ইউপিআই। অর্থাৎ ভারতে লেনদেনের সবথেকে সহজ উপায় হল ইউপিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির নিয়মে বড়সড় বদল, প্রস্তুতি সেরে নিল কেন্দ্র!
ইউপিআই খুবই নিরাপদ পেমেন্ট মাধ্যম হলেও অনেক সময় আমাদের দিক থেকে ছোট্ট একটা ভুলের জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ খোওয়া যেতে পারে। কী ভাবে। ধরা যাক, আমরা কাউকে টাকা পাঠাতে চাইছি। কিন্তু ভুল ইউপিআই দিয়ে ফেললাম। ফলে যাঁকে পাঠাতে চাওয়া হচ্ছে, তাঁর বদলে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যেতে পারে। হামেশাই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান? সবার আগে এই ৪ পদক্ষেপ করুন, না হলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে!
এই পরিস্থিতি তৈরি হলে অধিকাংশ মানুষই ঘাবড়ে যান। কী করতে হবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না তাঁরা। তবে ভুল অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা উদ্ধার করার উপায় কিন্তু রয়েছে। কিন্তু সেটা কী?যাই হোক, দেখে নেওয়া যাক, ভুল অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা উদ্ধার করার উপায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই জানাচ্ছে, ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে ভুল করে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে ফেললে সেই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মাধ্যমের কাছেই অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
ভুল করে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে ফেললে ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবার অ্যাপ, যেমন - পেটিএম, গুগল পে, ফোন পে-র কাস্টমার সার্ভিস থেকে সাহায্যও প্রার্থনা করা যেতে পারে।
আর পেমেন্ট সিস্টেম থেকে যদি সমস্যার সমাধান না-আসে, তা-হলে সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য আরবিআই-এর ন্যায়পালের কাছে যাওয়া যেতে পারে। কিন্তু আরবিআই-এর এই ন্যায়পাল কে। আরবিআই জানাচ্ছে, ন্যায়পাল হলেন এক উচ্চপদাধিকারী আধিকারিক। এঁদের নিয়োগ করে খোদ আরবিআই। স্কিমের ৮ নম্বর ক্লজের আওতায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে স্কিমের অধীনে থাকা কিছু নির্দিষ্ট পরিষেবায় ঘাটতির ক্ষেত্রে সিস্টেম পার্টিসিপেন্টদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অভিযোগের প্রতিকার করেন এঁরা।
ইউপিআই, ভারত কিউআর কোড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পেমেন্ট ট্রানজ্যাকশনের জন্য যদি পেমেন্ট সিস্টেম আরবিআই-এর নির্দেশিকা না-মানে, তা-হলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি পেমেন্ট সিস্টেম আরবিআই-এর নির্দেশ মেনে অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না-করতে পারে, তা-হলেও অভিযোগ করা যাবে।
