মাত্র কয়েকটি গাড়ি থেকে এই অভিযোগ এলেও Hyundai-এর তরফে যে পরিমাণ গাড়িকে রিকল করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে। অটো-এক্সপার্টদের মতে, Hyundai-এর ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল রিকল এটি। কারণ এই বিশাল পরিমাণ গাড়ির ব্যাটারি পরিবর্তন করতে গিয়ে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার লেগে যাবে। প্রতি গাড়িতে গড় খরচের পরিমাণ হবে ১১,০০০ ডলার।
advertisement
কিন্তু এই রিকলের নেপথ্যের কারণ কী? হাতে গোনা কয়েকটি গাড়ি থেকেই ব্যাটারিতে আগুন লাগার অভিযোগ এসেছে। তবে তা নিয়েই বেশ সচেতন Hyundai। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ব্যাটারি থেকে আগুন লেগে এখনও পর্যন্ত কারও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হওয়ার পরও ব্যাটারিতে আগুন লাগার অভিযোগ এসেছে। আসলে গাড়ির মধ্যে থাকা LG ব্যাটারি সেলে কোনও শর্ট-সার্কিট থেকেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে সংস্থা। স্থানীয় ডিলারশিপ থেকে শুরু করে সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যেও নানা সমীক্ষা চলছে। আলাদা করে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এই ৮২,০০০ গাড়ির মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২৭,০০০ ও বিশ্বের বাকি দেশ থেকে ৫৫,০০০ গাড়িকে রিকল করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ নিয়ে ব্যাটারি সরবরাহকারী সংস্থা LG Energy Solutions-এর সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে।
তবে এই ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগে ইলেকট্রিক Chevrolet Bolt-এ ব্যাটারির সমস্যা দেখা গিয়েছিল। সেই সময়ে একাধিক গাড়ির রিকল হয়েছিল। Tesla-র গাড়িতেও ব্যাটারি নিয়ে একটি সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তবে Hyundai-এর ক্ষেত্রে পুরো ব্যাটারি সিস্টেমকে রিপ্লেস করা একটি বড়সড় পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে পুরনো মডেলের গাড়িগুলির পুরো ইঞ্জিন বদলাতে যে খরচ পড়ত, ব্যাটারি বদলাতেও খানিকটা একই খরচ পড়বে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একটি ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যাটারি সিস্টেম যে কতটা দামি, সেটাও হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। আপাতত Hyunadai কী ভাবে পরিস্থিতির সামাল দেবে, সে দিকেই তাকিয়ে সবাই!