আয় করলে আয়কর দিতে হবে। এ থেকে পরিত্রাণের কোনও উপায় নেই। তবে কিছু পদ্ধতি আছে, যেগুলো মেনে চললে আয়করে ছাড় মিলতে পারে। এখানে দেওয়া হল তারই সুলুকসন্ধান।
ধারা ৮০সি-এর আওতায়: করদাতা পিপিএফ (Public Provident Fund), এলআইসি (Life Insurance Premium), এনএসসি (National Savings Certificate), ইএলএসএস (Equity Linked Savings Scheme)-এর মতো বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: HDFC ব্যাঙ্কের ৯০ দিনের FD-তে ৯ লাখ টাকা রাখলে ম্যাচিউরিটির সময়ে কত টাকা পাবেন? দেখুন হিসেব
হোম লোন: হোম লোনের সুদে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
এনপিএস: ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে (National Pension Scheme) বিনিয়োগ করে সেকশন 80CCD(1B) এর অধীনে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত কর ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিমা: ধারা 80D-এর আওতায় নিজের এবং পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামে ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন করদাতা।
শিক্ষা ঋণ: ধারা 80E অনুযায়ী, শিক্ষা ঋণের সুদের ওপর কর ছাড় পাওয়া যায়।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: চাকরিজীবীদের জন্য বছরে ৫০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
এলটিএ (Leave Travel Allowance): ছুটিতে ভ্রমণের সময় ব্যয় করা অর্থের ওপর কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে এর জন্য করদাতাকে নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
ইপিএফ: চাকরিজীবীদের কর বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF)। আয়কর আইনের ধারা 80C-এর অধীনে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। EPF অ্যাকাউন্টে বছরে ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যে সুদ জমা হয়, তা করমুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন: ATM থেকেই তুলতে পারবেন PF-র টাকা, উপকৃত হবেন ৭ কোটি কর্মচারী, কবে থেকে মিলবে সুবিধা? রইল বিস্তারিত
হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স (HRA): এটি এমন একটি সুবিধা যা কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মেটাতে দেওয়া হয়। কোম্পানি বেতনের পাশাপাশি এই টাকা দেয়। আয়কর আইনের ধারা 10(13A)-এর অধীনে নির্দিষ্ট শর্তাবলীর ভিত্তিতে HRA-তে কর ছাড় পাওয়া যায়।
টিউশন ফি: আয়কর আইনের ধারা 80(সি)-এর ক্লজ 17 অনুযায়ী, সন্তানের টিউশন ফি বা স্কুল ফির ক্ষেত্রে করদাতা আয়কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। এগুলো মেনে চললে একজন চাকরিজীবী খুব সহজেই মোটা টাকা বাঁচাতে পারেন।