আরও পড়ুন: বিভিন্ন রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার কত মিলছে? দেখে নিন এক নজরে...
যোগ্যতার মাপকাঠি:
প্রত্যেক ব্যাঙ্কে লোনের জন্য যোগ্যতা এবং অনুমোদনের মাপকাঠি আলাদা আলাদা হয়। এ ছাড়া স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি এবং নিয়মিত আয় আছে, এমন বেতনভোগী কর্মীদের জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি আলাদা হয়। তবে লোনের অনুমোদনের জন্য কিছু প্রাথমিক বিষয় থাকে, যা সব ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এক রকম হয়। নীচে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হল।
advertisement
বেতনভোগীদের যোগ্যতা:
- বয়স সীমা: আবেদনকারীর বয়স ২১ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আয়: মাসিক আয় কমপক্ষে ১৫,০০০ হতে হবে।
- আয়ের উৎস: বর্তমান নিয়োগকর্তার সাথে কমপক্ষে ১ বছর কাজ করার রেকর্ড থাকতে। হবে।
আরও পড়ুন: কোন ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা তুলতে পারবেন এবং মোট কত লেনদেন করা যাবে?
স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তির যোগ্যতা:
- বয়স সীমা: আবেদনকারীর বয়স ২৬ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আয়: বাৎসরিক লভ্যাংশ কমপক্ষে ১.৫ লক্ষ টাকা হতে হবে।
- আয়ের উৎস: একই কাজ বা ব্যবসার সঙ্গে কমপক্ষে ৩ বছর যুক্ত থাকার রেকর্ড দেখাতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি:
ব্যবহৃত গাড়ির লোনের জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে।
- আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- গাড়ির বর্তমান দামের মূল্যায়ন
পরিচয়ের প্রমাণপত্র: নিম্নলিখিত নথিগুলির যে কোনও একটি পরিচয়পত্রের প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।
- আধার কার্ড
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- ভোটার আই-ডি কার্ড
- প্যান কার্ড
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডের সুবিধাগুলি কী কী? কোথায় বিনিয়োগ করলে সব চেয়ে বেশি লাভবান হবেন
ঠিকানার প্রমাণপত্র: নিম্নলিখিত নথিগুলির যে কোনও একটি ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে--
- ভোটার আইডি
- LIC পলিসি
- বিদ্যুৎ বিল
- আধার কার্ড
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- রেশন কার্ড
- পাসপোর্ট
- ভোটার আই-ডি কার্ড
আয়ের প্রমাণপত্র: নিম্নলিখিত নথিগুলির যে কোনও একটি আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে জমা দিতে হবে--
- লাভ এবং লোকসানের হিসাব
- ব্যালেন্স শীট
- অডিট শীট
- ফর্ম ১৬
- স্যালারি স্লিপ
- ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট
ব্যবহৃত গাড়ির জন্য লোন নেওয়ার আগে যে বিষয়গুলি জানা প্রয়োজন:
- নতুন গাড়ির ঋণের তুলনায় ব্যবহৃত গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার তুলনামূলক বেশি হয়।
- বেশ কিছু ব্যাঙ্ক এবং নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি (NBFC) ৩ বছরের চেয়ে বেশি পুরনো গাড়ির জন্য লোন দেয় না।
- গাড়ির বিমার খরচে লোনের পরিমাণে যোগ করা হবে না, অর্থাৎ ব্যাঙ্ক বিমার খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে।
ব্যবহৃত গাড়ির লোনে সুদের হারের একটি তুলনামূলক তালিকা দেওয়া হল:
লোনদাতা | সুদের হার | পরিশোধের মেয়াদ |
*-ICICI ব্যাঙ্ক | ১২.০০% - ১৪.৫০% | ৫ বছর |
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া | ৯.৭৫% - ১৩.২৫% | ৫ বছর |
টাটা ক্যাপিটাল | ১৫% থেকে শুরু | ৫ বছর |
HDFC ব্যাঙ্ক | ১৩.৭৫% - ১৬.০০% (র্যাক ইন্টারেস্ট) | ৭ বছর |
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক | ৭.৯০% থেকে শুরু | ৫ বছর |
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক | ১৪.৪০% - ১৬.৪০% | ৫ বছর |
মাহিন্দ্রা ফাইনান্স | ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে | ৫ বছর |
ব্যবহৃত গাড়ির লোনের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা কী?
- নতুন কার লোনের তুলনায় পুরনো গাড়ির জন্য লোনের পরিমাণ তুলনামূলক কম হবে। স্বাভাবিক ভাবেই মাসিক কিস্তি বা EMI অঙ্কও কম হবে।
- ঋণ পরিশোধের মেয়াদ তুলনামূলক বেশি হয়। ফলে ধীরে ধীরে লোন শোধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে এবং আর্থিক টানাপোড়েন এড়ানো যাবে।
- বেশ কিছু ব্যাঙ্ক এবং নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি (NBFC) গাড়ির মূল্যের ১০০% পর্যন্ত লোন হিসেবে প্রদান করে।
- আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
- গাড়ির বিমা এবং পরিষেবা খরচ নতুন গাড়ির তুলনায় অনেক কম।
- খুব কম নথিপত্র জমা দিতে হয়।
আবেদন করার কী কী বিষয় বিচার করা উচিত?
- ঋণের জন্য আবেদন করার আগে ভালো ভাবে রিসার্চ করে নিতে হবে যে, কোন ব্যাঙ্কে সব চেয়ে কম সুদের হারে উপযুক্ত মেয়াদে ঋণ প্রদান করছে। একাধিক ব্যাঙ্ক এবং ঋণদাতা সংস্থা সুদের হারে আকর্ষণীয় অফার দেয়। এই জাতীয় অফার পেলে তার সুবিধা নিতে হবে।
- অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া বেছে নিতে হবে, এতে অনেক সময় বাঁচবে।
- ইন্টারনেটে লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে হিসেব করতে হবে। গ্রাহকের প্রত্যাশিত পরিমাণ ঋণ মাসিক কত সুদ তাঁর সাধ্যমতো হবে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদ কত এবং মোট কত টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে, তা ভালো ভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
- প্রতিষ্ঠিত ঋণদাতা বেছে নিতে হবে, যেখানে লোনের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং সরল হবে।