টাটা নেক্সনের বৈদ্যুতিক গাড়ির এক মালিকের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পরে। সেই ব্যক্তি ২ বছর চালিয়ে ৬৮ হাজার কিলোমিটার চলার পর তাঁর গাড়ির ব্যাটারি প্যাক পরিবর্তন করলেন। পেট্রোল/ডিজেল গাড়ির তুলনায় এত দামের ইলেকট্রিক গাড়ির প্রধান কারণ ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক মোটর। সম্প্রতি, সেই নেক্সন ইভি ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন যে এর ব্যাটারির দাম ৭ লাখ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডে ১৫x১৫x১৫ নিয়ম অনুসরণ করলেই কিন্তু কেল্লা ফতে!
টাটা মোটরস বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির নিরিখে দেশের এক নম্বরে রয়েছে। নেক্সন ইভি প্রাইম, নেক্সন ইভি ম্যাক্স, টিগর এবং সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া টিয়াগো ইভি সহ, টাটা তার বৈদ্যুতিক গাড়ির পোর্টফোলিও ক্রমশ প্রসারিত করছে। ভারতে এমন ধারণা নতুন হওয়া সত্ত্বেও, লোকেরা টাটার ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতি ভাল আগ্রহ দেখিয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০২২এর সেলস চার্ট অনুসারে, টাটা ৮২.৮০% বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির করে শীর্ষে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ি হল নেক্সন ইভি। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: SIP দেওয়া যদি কোনও মাসে ভুল হয়ে যায়? মিউচুয়াল ফান্ডের কী হতে পারে জেনে নিন এখনই!
গাড়ির ব্যাটারি কত দিন চলবে সেটা নিয়ে মানুষের মনে এখনও সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে একজন ব্যবহারকারী ব্যাটারি পরিবর্তন করে কিছুটা হলেও বিষয়টি বুঝতে সাহায্য করেছেন।
নেক্সন ইভি ব্যাটারি এবং মোটর
ইলেকট্রিক গাড়ি পেট্রোল/ডিজেল গাড়ির তুলনায় ব্যয়বহুল। এর প্রধান কারণ ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক মোটর। সম্প্রতি, একজন নেক্সন ইভি ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন যে এর ব্যাটারির দাম ৭ লাখ টাকা, অন্য এক নেক্সন ইভি-এর মালিক এর দাম জানিয়েছেন ৪,৪৭,৪৮৯ টাকা পড়েছে।
নিঃসন্দেহে এগুলি খুব ব্যয়বহুল, তবে এগুলি ওয়ারেন্টির আওতায় রয়েছে। ব্যাটারিতে টাটা নেক্সন ১.৬ লক্ষ কিলোমিটার বা ৮ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে, গ্রাহক বিনামূল্যে একটি নতুন ব্যাটারি পাবেন। কর্নাটকের নেক্সন ইভি মালিক দুই বছরেই ৬৮ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিলেন। ব্যাটারির ক্ষমতা যদিও দুই বছরেই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। তবে ওয়ারেন্টির অধীনে থাকায় টাটা মোটরস কোনও অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই পুরনো ব্যাটারি বদলে নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে দিয়েছে তাঁর গাড়িতে।