পলিসি বন্ধের জন্য অফলাইন রুট নিতে জোর করা: আজকাল সব কিছুই অনলাইনে। নেট-সংযুক্ত বিশ্ব এখন ডিজিটাল। কিন্তু গ্রাহকরা অনলাইনে ইউলিপ স্কিম বন্ধ করতে পারেন না। অভিযোগ, তাঁদের অফলাইনে আসার জন্য জোর করা হয়। অথচ অনলাইনে স্কিমের স্টেটাস দেখা যায়, তৈরি করা যায় ফান্ড স্যুইচ। কিন্তু পলিসি বন্ধ করতে চাইলে বলা হয়, অফলাইনে আসুন। সোজা কথায়, গ্রাহককে অফিসে আসতে বাধ্য করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টে নয়, লকারে রাখা ১৮ লক্ষ টাকা! পুরোটাই খেয়ে ফেলল উঁইপোকায় ?
গ্রাহককে অফিসে আসতে জোর করার পিছনেও একাধিক কারণ রয়েছে। সেটা অফিসে ঢুকলেই বোঝা যাবে। সেখানে প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন। তিনি গ্রাহকের বন্ধ করতে চাওয়া পলিসির বদলে নতুন একটা পলিসি শুরু করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। গ্রাহককে বোঝানো হবে, নতুন এই পলিসি পুরনোটার চেয়ে আরও লাভজনক।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে টাকা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে? তার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে নিন
সম্প্রতি একটি শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশনের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কর্মী দুটি পলিসি আংশিক প্রত্যাহার করতে গিয়েছিলেন। তিনি খোঁজ নিয়ে জানেন অনলাইনে এটা করা সম্ভব। সেই অনুযায়ী যা যা করণীয় অনলাইনেই করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরেও টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। শেষে উপায় না দেখে তিনি অফিসে যান। গোটা ঘটনা খুলে বলেন। তখন তাঁকে জানানো হয়, অনলাইন প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র এনআরআই গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন পলিসি সংক্রান্ত কোনও দরকারে গ্রাহক অফিসে যান। পলিসির পেমেন্ট পিরিয়ড পাঁচ বছর, গ্রাহক তারপর গিয়েছেন, এরকম হলে তো কথাই নেই। তখন গ্রাহককে বোঝানো হয়, নতুন একটা পলিসি নিন। সেটা আরও লাভজনক হবে। যেহেতু ন্যূনতম প্রিমিয়াম পেমেন্টের সময়কাল পাঁচ বছর এবং তা পেরিয়ে গিয়েছে, ফলে গ্রাহকের সমস্যার সমাধান না করে নতুন পলিসি গছানোর চেষ্টা করা হয়।