এরপরই পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে আরবিআই। চলতি সপ্তাহের শুরুতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গ্রাহক অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট, ফ্যাস্ট্যাগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আমানত এবং টপ আপ বন্ধের নির্দেশ দেয়। সোজা কথায়, পিপিবিএলকে ২৯ ফেব্রুয়ারির পর টোল ট্যাক্সের জন্য গ্রাহকের থেকে আমানত নেওয়া, ক্রেডিট লেনদেন পরিচালনা, গ্রাহক অ্যাকাউন্ট, প্রিপেইড ইন্সট্রুমেন্ট, ওয়ালেট এবং কার্ডগুলিতে টপ-আপ করা-সহ বেশিরভাগ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এর মানে হল, গ্রাহকরা এখন তাঁদের অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস পাবেন। ওয়ালেটে সঞ্চিত টাকা দিয়ে পরিষেবা নিতে পারবেন ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১ মার্চ থেকে সব বন্ধ হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
একটি সূত্র পিটিআই-কে জানিয়েছে, কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এমন বেশ কিছু ঘটনা দেখা গিয়েছে, যা ন্যূনতম কেওয়াইসি প্রিপেইড নিয়ন্ত্রক সীমার চেয়ে অনেক বেশি। এই ধরনের ঘটনা টাকা পাচারের উদ্বেগ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পেটিএমের প্রায় ৩৫ কোটি ই-ওয়ালেট রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ কোটি নিষ্ক্রিয়। বাকি ৪ কোটি ই-ওয়ালেট সামান্য ব্যালেন্স বা কোনও ব্যালেন্স ছাড়াই চালানো হচ্ছে। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা পাচারের মতো ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে কেওয়াইসি-তে বড় ধরনের গড়মিল ছিল বোঝা যাচ্ছে। এতে গ্রাহক, আমানতকারী এবং ওয়ালেট হোল্ডাররা বড়সড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে কেওয়াইসি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ভায়োলেশন নিয়ে পেটিএমকে সতর্ক করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পেটিএম যে সব নথিপত্র পেশ করে তার বেশিরভাগই ভুয়ো এবং অসম্পূর্ণ বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। ২০২২ সালের মার্চ মাসে আরবিআই অবিলম্বে নতুন গ্রাহকদের অনবোর্ডিং বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে পিপিবিএলের মূল সংস্থা ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং অন্যান্য পেমেন্ট এগ্রিগেটরদের অফিসে অভিযান চালায় ইডি।