কারা খুলতে পারেন PPF অ্যাকাউন্ট:
যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ভারতের বাসিন্দাই খুলতে পারেন PPF অ্যাকাউন্ট। নাবালকদের ক্ষেত্রে একজন অভিভাবক খুলতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট। ৫০-৬০ বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা দপ্তর বা সেনায় কর্মরত কোনও ব্যক্তিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। তবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
advertisement
ম্যাচিওরিটি ডেট:
PPF-এর ক্ষেত্রে ম্যাচিওরিটি ডেট হিসেব করা হয় একটু আলাদা ভাবে। এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে নয়, বরং যে অর্থবর্ষে টাকা জমা হয়েছে, সেই অর্থবর্ষের শেষ থেকে ম্যাচিওরিটির তারিখ হিসেব করা হয়। এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলার দিন, মাস বা তারিখের কোনও গুরুত্ব থাকে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনও বিনিয়োগকারী ২০১৯ সালের ১ জুলাই প্রথমবার টাকা জমা দিলেন। এ ক্ষেত্রে ১৫ বছরের সময় হিসেব করা হবে ৩১ মার্চ ২০২০ থেকে। অর্থাৎ ম্যাচিওরিটির বছর বা তারিখ হবে ১ এপ্রিল ২০৩৫।
সুদের হিসেব:
PPF-এর নিয়ম অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীদের সর্বদা প্রতিমাসের পাঁচ তারিখে বা তার আগে তাঁদের ইনস্টলমেন্ট জমা দিতে হবে। এর সাহায্যে ওই নির্দিষ্ট মাসের সুদ পান তাঁরা। PPF অ্যাকাউন্টের সুদের হার মাসের পঞ্চম দিন ও শেষ দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে থাকা ন্যূনতম টাকার উপর নির্ণয় করা হয়। এ বিষয়ে Findoc-র একজিকিউটিভ ডিরেক্টর নীতিন শাহি বলেন, PPF-এ জমা টাকার উপর ভিত্তি করেই সুদের হিসেব করা হয়। তবে সুদের টাকা অর্থবছরের শেষে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রতি বছর ৩১ মার্চ তারিখে সুদের টাকা ক্রেডিট হয়।
প্রি-ম্যাচিওর উইথড্রয়াল/লোন:
PPF অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রথম সাবস্ক্রিপশনের বছরের শেষ থেকে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর লোন নেওয়া যাবে। লোনের পাশাপাশি টাকা তোলার সুবিধাও পেতে পারেন অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা। এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট যে বছরে খোলা হয়েছিল, সেই বছরের শেষ থেকে পাঁচ বছরের পর টাকা তোলা যাবে। কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডার চাইলেই আগে থেকে টাকা তুলে নিতে পারেন। তবে এই প্রি-ম্যাচিওরের ক্ষেত্রে আবার কিছু নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে একজন অ্যাকাউন্টে থাকা মোট টাকার অর্ধেক অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তুলতে পারেন। তবে একটি আর্থিক বছরে একবারই হবে এই উইথড্রয়াল বা টাকা তোলার কাজ।