সোনার গয়না: সোনায় বিনিয়োগ করার কথা বললে, সবার প্রথমেই যেটা মাথায় আসে সেটা সোনার গয়না। এটাকেই সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করেন ভারতীয়রা। বিশেষ করে গ্রাম এবং ছোট শহরের মানুষের কাছে সোনায় বিনিয়োগের একমাত্র মাধ্যম স্বর্ণালঙ্কার। এর প্রধান কারণ অন্যান্য বিকল্পগুলি হাতের কাছে না পাওয়া এবং সচেতনতার অভাব।
আরও পড়ুন: দেখে নিন ২০২৩ সালে মহিলাদের জন্য সেরা ৫ সেভিংস অ্যাকাউন্টের হদিশ!
advertisement
এছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন সোনার গয়না যে কোনও জুয়েলারি দোকানেই পাওয়া যায়। তবে বিনিয়োগের জন্য সোনার গয়না কিনলে অবশ্যই হলমার্ক রয়েছে কি না দেখে নিতে হবে। এর মানে যথাযথভাবে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করা হয়েছে। এই গয়না পুনরায় বিক্রি করতে চাইলে হলমার্ক দরকার। গয়নার সঙ্গে সোনার খরচ এবং উদপাদন খরচও জড়িয়ে থাকে। যা সোনার দামের ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। কিন্তু গয়না বিক্রির সময় এই খরচ তোলা যায় না।
সোনার কয়েন এবং বার: পোর্টফোলিওতে ভৌত সোনা যোগ করতে চাইলে ২২ ক্যারাট বা ২৪ ক্যারাটের (৯৯৫ এবং তার উপরে) সোনার কয়েন বা বুলিয়ন বার কেনা যায়। ১ গ্রাম থেকে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার কয়েন হয়। রকমারি ডিজাইন। এর বেশি চাইলে সোনার বার। ১০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত। ভারত সরকার এবং এমএমটিসি সোনার কয়েন বিক্রি করে। এগুলো ‘ইন্ডিয়া গোল্ড কয়েন’ বা আইজিসি নামে পরিচিত। ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএস-হলমার্ক থাকে, যা ২৪ ক্যারেট বিশুদ্ধতা এবং ৯৯৯ সূক্ষ্মতা নিশ্চিত করে৷ অবশ্য জুয়েলারি বা বুলিয়ন ব্যবসায়ীদের থেকেও সোনার কয়েন বা বার কেনা যায়।
আরও পড়ুন: সোনার দাম কি আগামী দিনে বাড়তে পারে না কমতে পারে?এক নজরে দেখে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি
সভেরিন গোল্ড বন্ড: সোনার সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন নেই। তাই সোনা আমদানি করতে হয়। কিন্তু তার খরচ রয়েছে। সেই খরচ কমাতেই ২০১৫ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সভেরিন গোল্ড বন্ড জারি করে। গোল্ড বন্ড ইউনিট ভিত্তিতে বিক্রি হয়। বিনিয়োগকারী সভেরিন গোল্ড বন্ডে বছরে ৪ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা কম খরচে লেনদেন। সুদের হার বার্ষিক ২.৫ শতাংশ।
গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ: ইটিএফ ভৌত সোনার সমান। শুধু এর জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। গোল্ড ইটিএফ-এর প্রতিটি ইউনিট ০.০১ গ্রাম হতে পারে বা ০.৫ গ্রাম থেকে ১ গ্রাম হতে পারে, পুরোটাই তহবিলের পরিসরের উপর নির্ভর করে।