গ্র্যাচুইটি গণনার সূত্র কী
গ্র্যাচুইটি গণনার সূত্র হল (শেষ বেতন) × (মোট কাজের বছর) × (১৫/২৬)। শেষ বেতন বলতে গত ১০ মাসের গড় মূল বেতন + ডিএ + কমিশন বোঝায়। মাসে চারটি রবিবারকে সপ্তাহান্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই ২৬ দিন গণনা করা হয়।
কোন কোম্পানিগুলিতে গ্র্যাচুইটি নিয়ম প্রযোজ্য
advertisement
যদি কোনও বেসরকারি বা সরকারি কোম্পানিতে ১০ বা তার বেশি কর্মচারী থাকে, তাহলে গ্র্যাচুইটি প্রদান বাধ্যতামূলক। কারখানা, খনি এবং দোকানগুলিও এই বিভাগের আওতায় পড়ে।
৪ বছর ৮ মাস = ৫ বছর
কেউ যদি ৪ বছর ৮ মাস একটানা কাজ করে থাকেন, তাহলে এই সময়কাল ৫ বছর হিসেবে বিবেচিত হবে। এর অর্থ হল, ৪ বছর ৮ মাসের পরেও কর্মী গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য। যদি চাকরি ৪ বছর ৮ মাসের কম হয়, তাহলে তা ৪ বছর হিসেবে গণনা করা হবে।
নোটিশের সময়কালও অন্তর্ভুক্ত
নোটিশের সময়কালও চাকরির সময়ের অংশ হিসেবে গণনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ ৪.৬ বছর কাজ করে এবং তারপর ২ মাসের নোটিশ দেন, তাহলে মোট চাকরি ৪ বছর ৮ মাস হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ৫ বছরের ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে।
অ-নিবন্ধিত কোম্পানিগুলির জন্য নিয়ম
যদি কোনও কোম্পানি গ্র্যাচুইটি আইনের অধীনে রেজিস্টার না হয়, তাহলে গ্র্যাচুইটি প্রদান করা তার বিবেচনার বিষয়। এই ক্ষেত্রে, সূত্রটি ভিন্ন হবে: প্রতি বছর অর্ধ মাসের বেতন × মোট বছরের সংখ্যা এবং প্রতি মাসে ৩০ দিন গণনা করা হবে, ২৬ নয়।
কর সীমা
একটি কোম্পানি সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা গ্র্যাচুইটি দিতে পারে। এই পরিমাণ করমুক্ত। এই নিয়ম সরকারি এবং বেসরকারি উভয় চাকরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
কর্মচারীর মৃত্যু হলে কী হবে
যদি কর্মচারী চাকরিরত অবস্থায় মারা যান, তাহলে সম্পূর্ণ গ্র্যাচুইটির পরিমাণ তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করা হবে। এই ক্ষেত্রে ৫ বছরের চাকরির প্রয়োজনীয়তা প্রযোজ্য হবে না।