যদিও সবকিছু স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করছে পেটিএম। সংস্থার তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পেমেন্টস ব্যাঙ্কে নিষেধাজ্ঞার পরেও পেটিএমে নিয়োগ জারি রয়েছে বলেও খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যেই পেটিএম নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় সরকার। সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হল, আইন মানতেই হবে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩ লাখ টাকা থেকেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়; এভাবে করুন বিনিয়োগ
advertisement
কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, ‘দেশের সমস্ত কোম্পানিকে আইন মানতেই হবে। এখানে ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনও ব্যাপার নেই’। পেটিএমের বিরুদ্ধে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া পদক্ষেপ অন্যান্য ফিনটেক কোম্পানিগুলির কাছেও বার্তা বলে মনে করছেন অনেকে।
অন্য দিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের পরই ১ ফেব্রুয়ারি পেটিএমের শেয়ারে ২০ শতাংশ পতন হয়। একদিনে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৭৬১ টাকা থেকে ৬০৮.৮০ টাকায় নেমে আসে। এরপর থেকে পেটিএমের শেয়ার কখনও উঠেছে, কখনও পড়েছে। একসময় দাম ৩১৮.৩৫ টাকায় নেমে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আপনার সন্তানের জন্য নতুন পলিসি নিয়ে এল LIC, বিমার সঙ্গে মিলবে মোটা রিটার্নও
এই পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারীই জানতে চাইছেন, পেটিএমের শেয়ার করা উচিত হবে কি না। একমাস আগে ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন বাজার বিশ্লেষকই পেটিএমের শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন অবিলম্বে কেনার সুপারিশ করেছিলেন। আর ৫ জন ধরে রাখার কথা বলেছিলেন। কোনও বাজার বিশেষজ্ঞই সেই সময় বিক্রির পরামর্শ দেননি। কিন্তু এখন ১৪ জনের মধ্যে ৪ জন বিক্রি করে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ২ জন সেল রেটিং দিয়েছেন, ২ জন হোল্ডের পরামর্শ দিয়েছেন, ৪ জন স্ট্রং বাই এবং একজন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন।
ব্রোকারেজ ফার্ম বার্নস্টেইন পেটিএমকে ‘আউটপারফর্ম’ রেটিং দিয়েছে। শেয়ারের লক্ষ্য মূল্য বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করেছে। তাদের মতে, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ আরবিআই পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। পেটিএমে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এই দুটোর পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ’। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে আরও বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।