জানা গিয়েছে, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে পেট্রোল এবং ডিজেল বিক্রির শুল্ক থেকে সরকারের আয় তিন গুণ হয়েছে৷ এপ্রিল মাসে যেখানে ১০,৫৬০ কোটি টাকা সরকারের ঘরে এসেছিল, সেখানে মে মাসে পেট্রোল এবং ডিজেলের রাজস্ব বাবদ ২৯,৩৯৬ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে এসেছে৷ একদিকে চড়া হারে এক্সাইজ ডিউটি চাপানো এবং অন্যদিকে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর মে মাসে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াতেই পেট্রোল ডিজেল থেকে রাজস্ব বাবদ সরকারের আয় তিন গুণ হয়েছে৷
advertisement
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে প্রতি লিটার পেট্রোলে ১০ টাকা এবং ডিজেলে ১৩ টাকা করে শুল্ক বৃদ্ধি করে সরকার৷ পেট্রোয়ালিয়াম জাত পণ্যের উপর চাপানো শুল্ক থেকে চলতি আর্থিক বর্ষে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
লকডাউন শিথিল হওয়ার পরই মে মাসে ডিজেলের চাহিদা ১৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৪.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন হয়েছে৷ এপ্রিল মাসে এই চাহিদা ছিল ৩২.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন৷
অন্যদিকে মে মাসে পেট্রোলের চাহিদা ১৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭.৬৯ লক্ষ মেট্রিক টন হয়েছে৷ এপ্রিলে যা ছিল ৯.৭ লক্ষ মেট্রিক টন৷
করোনা পূর্ববর্তী সময়ে দেশে পেট্রোল ডিজেলের যে চাহিদা ছিল, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর তার ৯০ শতাংশই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে৷