সরকারের আশঙ্কা, কোম্পানিগুলো সাধারণ মানের যন্ত্রাংশ বসিয়ে গাড়ি তৈরি করছে। সে জন্যই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোতে বারবার আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র মনে করছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো গাড়িগুলিতে ভাল মানের যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়। যাতে সার্টিফিকেট পেতে অসুবিধে না হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য বা বিক্রির জন্য যে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হচ্ছে তাতে অতি সাধারণ মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে কোম্পানিগুলো। এই সব কিছু মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি এবং পিএলআই প্রকল্পের নিয়ম কঠোর করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেনশন কাম বিমার মতো স্কিমে বিনিয়োগ করছেন না কি! পোর্টফোলিওর জন্য কেন ভাল নয় জানুন
নতুন নিয়মে কী লাভ হবে: সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ই-গাড়িতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের উৎস সম্পর্কে কোম্পানিগুলিকে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হবে। সিএনবিসি টিভি ১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন থেকে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিংকে এফএএমই-২ এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এটা কেবল ই-যানগুলিকে আরও সুরক্ষিত করে তুলবে তাই নয়, স্থানীয় যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের প্রচারেও সাহায্য করবে৷ এতে গাড়িতে উন্নত মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার হবে এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা কমবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: পেনশন কাম বিমার মতো স্কিমে বিনিয়োগ করছেন না কি! পোর্টফোলিওর জন্য কেন ভাল নয় জানুন
সিএ দ্বারা প্রত্যয়িত তথ্য: বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারকদের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের দ্বারা প্রত্যয়িত ই-বাহনগুলিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলির উৎস সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দিতে হবে। এতে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার আটকানো যাবে। কোম্পানিগুলি ভাল মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে একপ্রকার বাধ্য হবে। সিএনবিসি টিভি ১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক যানবাহন সংক্রান্ত এই নতুন নিয়ম ২০২২-এর ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।