মঙ্গলবারই ওই সংস্থা চালু করল অ্যাডিটটিভাইসড ডিজেল। সমস্ত জিও-বিপি আউটলেটে উপলব্ধ এই উন্নত মানের ডিজেল ট্রাক প্রতি বার্ষিক ১.১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারে। ভারতীয় বাজারে এই প্রথম বার অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই কোনও জ্বালানি সাধারণ দামেই পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে অ্যাকটিভ প্রযুক্তি অনির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। আসলে বার বার ব্যবহারের ফলে গাড়ির ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশে জমা হওয়া ময়লা দূর করতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন ধরনের কমার্সিয়াল যানবাহনে ব্যবহার করার জন্যই মূলত এই ডিজেল বানানো হয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিনের ক্ষমতা বজায় রাখতেও সহায়ক।
advertisement
আরও পড়ুন: মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার নামে ব্ল্যাকমেল! সিনেমার মতো অ্যাকশনে ধরা পড়ল অভিযুক্ত
সংস্থার সিইও হরিশ সি মেহতা জানান, “যদিও প্রতিটা গ্রাহক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তবে ট্রাক চালকদের জন্য জিও-বিপিতে এক বিশেষ স্থান রয়েছে। তাঁদের উদ্বেগ কমাতে জ্বালানির পারফরমেন্স বাড়াতে এবং ইঞ্জিন নিরাপদ রাখতে বহু বছর ধরেই সেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে কাজ করেছে জিও-বিপি।”
গ্রাহকদের সমস্যা:
ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ময়লা জমতে থাকে। আধুনিক ট্রাকগুলিতে ভাল ফুয়েল ইঞ্জেকশন সিস্টেম থাকে, যার মধ্যে সহজেই ময়লা জমে। কারণ ইঞ্জেকটর হোল-এর আকার কমানো হয়েছে এতে। সাধারণ মানের ডিজেল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমতে শুরু করে। যার ফলে গর্ত বুজে আসতে থাকে। এতে পিক-আপ কমে, জ্বালানির প্রয়োজনও হয় বেশি। সেই কারণে রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বৃদ্ধি পায়।
অ্যাকটিভ টেকনোলজি-সহ জিও-বিপি-র ডিজেল ভারতীয় যানবাহনের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে তৈরি করা এই জ্বালানি দারুন উপায়ে ইঞ্জিনের ময়লা দূর করতে সক্ষম।
১. অ্যাকটিভ অণু ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশের ময়লাকে টেনে নেয়। সেই ময়লা জ্বালানির সঙ্গে মিশে ইঞ্জিনের মধ্যে চলে যায়। আর সেখানে নিরাপদে পুড়েও যায়।
২. এর সঙ্গে ইঞ্জিনের ধাতব পৃষ্ঠ পরিষ্কার করতেও সক্ষম এই অ্যাকটিভ অণু। এতে আসলে একটা সুরক্ষা বর্ম তৈরি হয়। ফলে ধাতুর পৃষ্ঠে আর ময়লাও জমে না।
গ্রাহকদের কী কী উপকার হবে?
এই ডিজেলের অ্যাকটিভ টেকনোলজি ট্রাক প্রতি বার্ষিক প্রায় ১.১ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করবে। সেই সঙ্গে জ্বালানি অর্থনীতিও ৪.৩% পর্যন্ত উপকৃত হবে।
এটা ইঞ্জিনের পিক-আপ পুনরুদ্ধার এবং বজায় রাখতে সহায়ক।
আরও পড়ুন: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে নতুন সাফল্য! ১৪ নং টানেলের কংক্রিট লাইনিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ
অবিরাম ব্যবহারের অনির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করবে এই ডিজেল।
ময়লা জমার কারণে ইঞ্জিনের যে ক্ষতি হয়, তা সারাতে প্রচুর টাকা লেগে যায়। এই ডিজেলে সেই খরচের আশঙ্কা কমবে।
ইঞ্জিনে বিদ্যমান ময়লা দূর তো করেই, সেই সঙ্গে ময়লা জমাও প্রতিরোধ করে।
এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি-ফোম এজেন্ট। যার ফলে চালকদের সুবিধা হয়। বার বার পাম্পে তেল ভরার জন্য দাঁড়াতেও হয় না।