এক লিটারে ১০ টাকা আয়:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, তেল সংস্থাগুলি প্রতি লিটার পেট্রোলে ১০ টাকা লাভ করছে, তবে আগের লোকসান মেটাতে খুচরো দাম কমানো হয়নি। আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি লিটার ডিজেলে কোম্পানিগুলোর ৬.৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। প্রধান তেল সংস্থাগুলি ১৫ মাস ধরে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম পরিবর্তন করেনি।
advertisement
বিনিয়োগকারীদের জন্য উপার্জনের সুযোগ:
এইচপিসিএল, বিপিসিএল, আইওসি-র মতো সংস্থাগুলি সরাসরি অপরিশোধিত তেলের দামের এই পতন থেকে উপকৃত হবে। একই সঙ্গে টায়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পেইন্ট কোম্পানিগুলোও এর সুবিধা পাবে।
ভারত কতটা লাভবান হবে:
ভারত তার অপরিশোধিত তেলের চাহিদার ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে ক্রয় করে। এর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার ব্যয় করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে যখনই অপরিশোধিত তেল সস্তা হয়, ভারত লাভবান হয়। রুপি লাভবান হয়, ডলারের সাপেক্ষে তা শক্তিশালী হয় এবং মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসে। এটা স্পষ্ট যে, বাইরে থেকে যখন সস্তা অপরিশোধিত তেল আসবে, তখন অভ্যন্তরীণ বাজারেও এর দাম কম থাকবে। এসএমসি গ্লোবালের মতে, দেশের তেল কোম্পানিগুলি অপরিশোধিত তেলের ১ ডলারের হ্রাসের জন্য প্রতি লিটারে ৪৫ পয়সা সাশ্রয় করে।
অর্থনীতি সরাসরি উপকৃত হয়:
অপরিশোধিত তেলের দাম যখন এক ডলার কমছে, তখন ভারতের আমদানি বিল প্রায় ২৯ হাজার মিলিয়ন ডলার কমেছে। ১০ ডলার কমানোয় সাশ্রয় হচ্ছে ২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। সরকার যদি এতটাই সঞ্চয় করতে পারে, তবে এটা স্পষ্ট যে, তার লাভ সরকার সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দেবে।