দাসপুরের শিল্পীরা তাঁদের অনন্য কারুকার্যের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষভাবে সমাদৃত। দাসপুর থানার অন্তর্গত গ্রামাঞ্চলে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, অধিকাংশ যুবক-যুবতী ও পরিবার কোনও না কোনওভাবে যুক্ত গয়না শিল্পের সঙ্গে। সোনার কাজের পাশাপাশি রুপো ও তামার কাজও চলছে সমান তালে।
দুর্গাপুজো যত ঘনিয়ে আসে, ততই এখানকার কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় । এবছর তামার গয়নার চাহিদা নজর কেড়েছে। কারিগররা দিন-রাত এক করে নতুন নকশার নেকলেস, দুল, বালা ও চুড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত।
advertisement
পুজোর আগে স্থানীয় গয়নার দোকানগুলির রমরমা। প্রতিদিন ভিড় জমছে ক্রেতাদের। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তামার গলার নেকলেস। পাশাপাশি কানের দুল, হাতের বালা ও চুড়ির চাহিদাও বাড়ছে। ফলে দোকানদার থেকে শুরু করে কারিগর—সবাইয়ের মুখে খুশির ঝলক। অতীতে বহু সময় অভিযোগ উঠেছিল, কারিগররা তাঁদের শ্রমের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। তবে এ’বছর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেই সমস্যার অনেকটাই নিরসন হয়েছে। কাজের চাপে ক্লান্ত হলেও সঠিক দাম পাওয়ার আনন্দে উজ্জ্বল তাঁদের মুখ। দাসপুরের সোনা-রুপো-তামার কাজ শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই শিল্প দাসপুরের মানুষের পরিচয়, গর্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতীক।